কলকাতা ব্যুরো: শহর এবং শহরতলির বাজারে আলু এখন কোথাও ২৮ তো কোথাও ৩০ টাকা কেজি। বাঙালির প্রায় সব পদেই ব্যবহার করা এই সব্জির এই চড়া দামে ঘোর বিপাকে নিম্নবিত্ত থেকে এমনকি মধ্যবিত্ত। এই সময়ে আলুর এই দাম বৃদ্ধি যে অস্বাভাবিক তা মনে করছে নবান্ন ও। এই পরিস্থিতিতে বাজারে আলুর দাম কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল রাজ্য। শুক্রবার আলু ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির সঙ্গে এক বৈঠকে হিমঘরে আলু মজুত রাখার পরিমাণও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।মানুষকে সুলভে আলু পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকারের তরফে কম দামে আলু বিক্রির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে আলুর দাম অনেকটাই বেড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মূল্যবৃদ্ধি অস্বাভাবিক বলে রাজ্য সরকার মনে করে। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আজ নবান্নে বেশ কয়েকটি আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে রাজ্যের কৃষি দপ্তরের কর্তারা বৈঠক করেন। সেখানে আলুর দাম কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আলুর দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের সময় সীমা বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি, রবিবার থেকে রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার স্টলে ২৫ টাকা করে প্রতি কিলো আলু বিক্রি করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আলু ব্যবসায়ীরা অবশ্য দাম বাড়ার জন্য ভিন রাজ্যে আলুর চাহিদা বৃদ্ধিকেই দায়ী করেছেন। তাদের দাবি, এরাজ্য থেকে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড় ও ওডিশাতে আলু রফতানি করা হচ্ছে। ফলে উৎপাদন বেশি হলেও চাহিদা অনুযায়ী জোগান কমছে বলে তাঁদের দাবি।