কলকাতা ব্যুরো: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা নেতৃত্বকে তৈরি হওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, পঞ্চায়েত ভোটে দু-চারটে আসনে হারলেও সমস্যা নেই। কিন্তু নির্বাচনে গা জোয়ারি করা চলবে না। পাশাপশি প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে জোর দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের পাখির চোখ পূর্ব মেদিনীপুরের লোকসভা আসন। আর সেই লক্ষ্যকে মাথায় রেখে একের পর এক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বৈঠক করছেন অভিষেক।
তবে পঞ্চায়েত ভোটের থেকেও লোকসভা নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন অভিষেক। তাই পঞ্চায়েত ভোটে জেতা বা হারা নয়, দলীয় সংগঠন মজবুত করার দিকে বিশেষ জোর দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি, জনমানসে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতেও বদ্ধপরিকর তিনি। আর সেই কারনেই বারবার পঞ্চায়েত ভোটে পেশিশক্তি না দেখিয়ে জেলা নেতৃত্বকে শান্ত হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি লোকসভা আসন তমলুক ও কাঁথি। দুটোই খাতায় কলমে তৃণমূলের দখলে থাকলেও অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য শিশির এবং দিব্যেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। আবার সেই পরিবারের সদস্য শুভেন্দু অধিকারীও এখন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা। ফলে এই দুই আসনে স্বাভাবিকভাবেই নতুন মুখকে প্রার্থী করবে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে অধিকারী পরিবারের গড় থেকে দুই লোকসভা আসনকে ছিনিয়ে আনাও বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের কাছে। তাই এদিন তমলুক সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে সংগঠন আরও মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। তবে নন্দীগ্রাম বা শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি যে মোটেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তমলুক, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌমেন মহাপাত্র বলেন, এটা স্পষ্ট যে এবার পঞ্চায়েত ভোটে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চায় না তৃণমূল। নির্বাচনে কোনওরকম পেশিশক্তির প্রয়োগ বরদাস্ত করবে না দল। জিততে হবে জনসংযোগের জোরেই।