এক নজরে

পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল শ্রীনগরের জঙ্গিদের

By admin

November 21, 2020

কলকাতা ব্যুরো: মুম্বাইয়ে ২৬/১১ র ধাচে শ্রীনগরে বড়োসড়ো জঙ্গি হামলার ছক ভেস্তে গেল নিরাপত্তাবাহিনীর সতর্কতায়। চারজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ঝাঁ ঝরা হওয়ার পরে উদ্ধার হলো প্রচুর গোলাবারুদ, আগ্নেয়াস্ত্র। তারই সঙ্গে মৃত জঙ্গিদের মোবাইল ফোন থেকে যে নথি উঠে এসেছে, তাতে আবার নড়ে উঠলো ইসলামাবাদ ও দিল্লির কূটনৈতিক মহল। মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া এসএমএসে পাকিস্তানের হাফিজ শইদের ভাই এই জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করছিল বলে স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে ভারত। এই প্রেক্ষাপটেই শনিবার সকাল থেকে জরুরি বৈঠকে বসে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। আর তারপরেই ডেকে পাঠানো হয় পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে।শুক্রবার শ্রীনগরের ঢোকার আগেই জঙ্গিরা প্রচুর বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্র বোঝাই ট্রাক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিল। পুলিশ তাঁদের সন্দেহ করে তাড়া করতে তারা পালাতে শুরু করে। কিন্তু জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে নাগোটা এলাকায় টোল প্লাজায় আটকে যায় জঙ্গিদের ট্রাকটি। তখনই তাদের ঘিরে ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অবস্থা বেগতিক বুঝে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। দীর্ঘক্ষন গুলির লড়াইয়ের মধ্যে বিস্ফোরক ফাট তে থাকে। কিন্তু একসময়ের পরে আর ওই ট্রাকের দিক থেকে গুলি বন্ধ হয়। এরপরই চার জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় ট্রাক বোঝাই বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ, আগ্নেয়াস্ত্র।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গুলির বক্তব্য, মুম্বাইয়ের ২৬/১১ র মত হামলার ছক এবার সেই করেছিল পাক মদদপুষ্ট জঙ্গীরা। বড়োসড়ো নাশকতার ছক কষেছিল ক্ষয়ক্ষতি করার জন্য পাকিস্তানের মদত পুষ্ট জঙ্গীরা। মৃত জঙ্গিদের মোবাইল ফোনের এসএমএস থেকে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়ে গেছেন যে পাকিস্থানে বসেই নেতারা এদের নিয়ন্ত্রণ করছিল।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শ্রীনগর এর মত এত কঠোর নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি মধ্যেও কি করে একটি ট্রাক বোঝাই বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জঙ্গিরা এত দূরে পৌঁছে গেল তা নিয়ে। সে ক্ষেত্রে কোথা দিয়ে জঙ্গীরা এই ট্রাক নিয়ে ঢুকেছে, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর শুরু হয়েছে। কেননা জঙ্গিদের এত বড় ট্রাক নিয়ে শ্রীনগরের মতো জায়গায় এত দূর পৌছে যাওয়াটাও দেশের গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।