এক নজরে

নবদূর্গা ও নবদূর্গার ভোগ

By admin

September 25, 2020

মন ভারাক্রান্ত। পরিবেশ দমবন্ধ করা। করোনার প্রকোপ। কিন্তু তবু শাস্ত্র বিধি মেনে পুজো করতে তো হবে। পরিস্থিতি যাই হোক নবরাত্রির নবদূর্গা পুজো ঘিরে আচার রীতির দিকে নজর দেওয়া যাক।

নবদুর্গা পুজোয় কি কি ভোগ মাকে অর্পণ করা হয় জানেন ?

প্রথমার দিন মা শৈলপূত্রিকে পুজো করা হয়। সেদিন মাকে আলুর হালুয়া, রাজগীরা লাড্ডু আর সাবুদানার খিচুড়ি ভোগে দেওয়া হয়।

দ্বিতীয়াতে দেবী ব্রহ্মচারিণীকে পুজো করা হয়। সেদিন ভোগে চিনির তৈরি কিছু অর্পণ করা হয়। গুজরাটের দিকে কলার বরফি বা আটার হলুয়া এদিন ভোগস্বরুপ দেওয়া হয় দেবীকে।

তৃতীয়াতে পূজিত হন মা চন্দ্রঘণ্টা। সেদিন মায়ের আরাধনায় শুধু দুধ অর্পণ করাই রীতি। মাখনা, ক্ষীর আর ফল দিয়ে এদিন মাকে ভোগ দেওয়া হয়।

চতুর্থীর দিন দেবী কুষ্মাণ্ডার পুজো হয়। সেদিন সারাদিন উপবাসের পর ভক্তরা মাকে মালপোয়া অর্পণ করেন।

পঞ্চমী তিথিতে দেবী স্কন্দমাতা কে পুজো করা হয় । সেদিন কলা থেকে তৈরি খাবার দেওয়া হয় দেবীকে।

ষষ্ঠীর দিন মা কাত্যায়নী কে পুজো করা হয়। সেদিন সাদা পোশাকে ভক্তরা এই পুজা সম্পন্ন করেন। এই দিন মাকে আলুর তৈরি সবজি মাকে ভোগে দেওয়া হয়।

সপ্তমীর দিন দেবীকে কালরাত্রি রূপে পুজো করা হয়। ভোগ হিসাবে এই দিন দেবীকে গুড়ের তৈরি খাবার অর্পণ করা হয়।

অষ্টমীর দিন খুব ধুমধাম করে পূজিত হন নবদূর্গা। এ দিন দেবীকে মহাগৌরি রূপে পুজো করা হয়। এদিন নারকলের তৈরি মিষ্টি দেবীকে অর্পণ করা হয়।

শেষ দিন নবমী। সেদিন দেবীকে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পুজো করা হয়। সেদিন হালুয়া, পুরী ও ছোলার খাবার দেবীকে অর্পণ করা হয়। এই দিন গোলাপী রঙের পোশাক পরে দেবীকে পুজো করেন ভক্তরা।