এক নজরে

ডায়মন্ড হারবার গোটা দেশের কাছে মডেল

By admin

August 10, 2022

কলকাতা ব্যুরো: ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র সারা দেশের কাছে মডেল। বুধবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, আগামী ২ বছরের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে যাবে। এখানে যেভাবে কাজ হয়েছে দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রের কোথাও কাজ হয়নি। রিপোর্ট কার্ড নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন সাংসদ।

প্রতি বাড়িতে আর্সেনিক মুক্ত জল পৌঁছে দিতে জলপ্রকল্পের কাজ শুরু হল ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে। এদিন সেই কাজের উদ্বোধন করতেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন সাংসদ। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। দ্রুত এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, কেউ যদি কাজ আটকানোর চেষ্টা করে, তাহলে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে জেলে ভরে দিন। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসনকে। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, কেউ যদি মনে করেন পুরসভার জলের লাইন মাঝপথে কেটে কাউকে জল দেবে, তাহলে ভুল করবে। কেউ কিছু করলে আমার কাছে একঘণ্টার মধ্যে খবর চলে আসবে।

সরকার সকলের জন্য, এই মন্ত্রেই বিশ্বাসী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আদর্শেই অনুপ্রাণিত দলের সেনাপতি অভিষেকও। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের তিন মাস আগে রাজনীতি হবে। লোকসভা ভোট, বিধানসভা ভোট, পুরসভা-পঞ্চায়েত ভোটের আগের ৩ মাস রাজনীতি হবে। সবমিলিয়ে ১২ মাস। বাকি ৪ বছর মানুষকে পরিষেবা দেব।

এরপর পুরকর্মীদের অভিষেকের নির্দেশ, যারা আমাদের ভোট দেননি, বিরোধীদের বাড়িতে আগে জলের লাইন দিন। চেষ্টা করুন ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে। আমিও প্রতি ২-৩ মাস অন্তর এসে বিস্তারিতভাবে কাজ খতিয়ে দেখব।

এদিনের সভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক। একশো দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়া নিয়ে সরব হন তিনি। তৃণমূল সাংসদের কথায়, বাংলায় ভোটে হেরেছে বিজেপি। তারই বদলা নিতে বাংলাকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। কিন্তু ওদেরও জেনে রাখা উচিত, এভাবে বাংলার মানুষের পেটে লাথি মারা যাবে না।