রিভিউ

খুন কা বদলা খুন

By admin

October 28, 2020

ইন্দ্রনীল বসু

গুলিগোলা, বন্দুক আর গালিগালাজ – স্বাগত সবাইকে মির্জাপুর ২ ওয়েব সিরিজে। মির্জাপুর ১ শেষ হয়েছিল বিবাহ অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে গুলি করে কয়েকজনের খুন দেখিয়ে। আর মির্জাপুর ২ ওয়েবসিরিজ শুরু হলো মির্জাপুরের ডন আখান্দনান্ড ত্রিপাঠী ওরফে কালিন ভাইয়ার ( পঙ্কজ ত্রিপাঠী ) কালো জামা সাদা হওয়া দিয়ে। মির্জাপুর ২ তে কালিন ভাইয়া ডন থেকে সোজা রাজনীতির গদিতে বসে পড়লেন।

উত্তর প্রদেশ বা বিহারের রাজনীতির যা মূল কথা। বাহুবলী রাজনীতি। গুর্মিত সিংহ আর মিহির দেশাইয়ের পরিচালনায় পেশি শক্তির পাশবিকতা প্রদর্শিত হয়েছে গোটা সিরিয়াল জুড়ে। কালিন ভাইয়ার রোলে আবারও পঙ্কজ ত্রিপাঠী নিজেকে প্রমাণ করেছেন তার বলিষ্ঠ অভিনয়কে। আর কালিনের ছেলে মুন্না এবার চায় বাবার গদিতে বসতে, মির্জাপুরের বেতাজ বাদশাহ হতে। কিন্তু মুন্নার বুদ্ধি বড্ড কম। একটুতেই গুলি চালিয়ে দেয়। তাই পিতা আখান্ডানান্ড চান মুন্না আর একটু সমঝদার হয়ে উঠুক। কিন্তু দেরি রাজি নয় মুন্নার। পিতা যখন লুখ্নও তে মন্ত্রী তখন তাকে মির্জাপুরের গদ্দি ছেড়ে দিতে ক্ষতি কি ?

একদিকে আখান্ডান্ড আর তার ছেলে আর অন্য দিকে বদলার জন্য তৈরি গুড্ডু পন্ডিত , গলু আর ডিম্পি। গুড্ডু তার ভাই বাবলুর হত্যার বদলা চায় ত্রিপাঠী পরিবারকে ধবংস করে। আর সঙ্গে পেয়ে যায় কালিনের স্ত্রী বীনাকে। কালীনের বাবা, বাউজি( কুলভুষণ খারবান্দা ) বীণার শ্লীলতাহানি করে। বীনা কাউকে সে কথা বলতে পারে না। কিন্তু মনে মনে এই নিকৃষ্ট পরিবারের অংশ হয়েই পরিবারকে শেষ করার অঙ্গীকার নেয়। গোপনে গুড্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। আখান্দানান্ড এর গতিবিধি জানাতে থাকে। আর গুড্ডু সেই মত কাজ করতে থাকে। গুড্ডু, গোলু আর ডিম্পির যোগসাজশে ধবংস কি হবে ত্রিপাঠী পরিবার ? উত্তর দেবে প্রাইম ভিডিওয় মির্জাপুর ২ । দেওয়ালি ধামাকা আর টি ২০ থেকেও উত্তেজক এই ওয়েবসসিরিজ দর্শকদের কতখানি আকর্ষণ করতে পারে সেটাই দেখার।