এক নজরে

দূরত্ববিধির ‘মাস্টারমশাই’ ঘরে ফিরলেন ব্যান্ড বাজিয়ে

By admin

August 02, 2020

কলকাতা ব্যুরো: করোনা মুক্তিতেও উৎসব।থাক না হোম কোয়ারান্টিনের বাধ্যবাধকতা।তাতে বাইক মিছিল, পুষ্পবৃষ্টি, ব্যান্ড পার্টি কিছুই আটকালো না।সংক্রমণ মুক্তকে স্বাগত জানানোর ভিড়ে শিকেয় উঠল শারীরিক দূরত্ববিধি।সংক্রমণ রুখতে যিনি নিজের শহরে ভিড়ভাট্টা বন্ধ করতে বেশ কয়েকবার তৎপর হয়েছেন, তাঁকে নিয়েই উৎসব হল রবিবার।ছুটির দিনটা ভালোই আমোদে কাটলো একদল লোকের।জনপ্রতিনিধি বলেই কি সাতখুন মাপ?হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, উচ্ছ্বাসের কেন্দ্রে একজন জনপ্রতিনিধি।বিধায়ক।তৃণমূল বিধায়ক।দিনহাটার পুরপ্রধানও বটে।হ্যাঁ, উদয়ন গুহের কথা বলছি।করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় শনিবার বাড়ি ফিরেছেন তিনি।ভর্তি ছিলেন শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে।বিধায়ক, পুরপ্রধান ছাড়া তাঁর আরেকটি পদ আছে।তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান।নীলবাতির অধিকারী।শিলিগুড়ির হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন অ্যাম্বুল্যান্সে।ফিরলেন নীলবাতির ভিআইপি গাড়িতে।কোচবিহার শহরের উপকণ্ঠে তোর্সা নদী পার হতেই প্রস্তুত ছিল তৃণমূলের থুড়ি বিধায়ক অনুগত বাইকবাহিনি।ব্যান্ড বাজিয়ে উদয়নের নামে জয়ধ্বনি দিতে দিতে বাইক মিছিল গেল ২৪ কিলোমিটার দূরের দিনহাটায়।সেখানে স্বাগত জানানো হলে গাড়ির ওপর পুষ্পবৃষ্টিতে।গাঁদাফুলে হলুদ হয়ে গেল সাদা গাড়ি।পথপরিক্রমা শেষে উদয়ন ঢুকলেন নিজের বাড়িতে।জানালেন, আপাতত ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টিন।তার আগে অবশ্য তাঁকে স্বাগত জানানোর ভিড়ে চিত্তির হল কোভিড প্রোটোকলের।লোকজনের ঘনিষ্ঠ মেলামেশা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।দিনহাটায় প্রথম থেকেই সংক্রমণের হার বেশি।লোকে লকডাউন তেমন না মানায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যেত উদয়নকে।পুরপ্রধান, বিধায়ক হিসেবে ঠিকই করতেন।মানুষের হুঁশ ফেরাতে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।জনপ্রতিনিধি সুস্থ হলে অনুগতরা উচ্ছ্বসিত হবেনই।কিন্তু করোনাকালে নিয়মকানুন বজায় রাখার দায়িত্বও যে তাঁদের কাঁধে।সেকথা ভুলে গেলেন তাঁরা এমন একজনকে স্বাগত জানাতে গিয়ে, যিনি স্বাস্থ্যবিধি পালনে অত্যন্ত উদ্যোগী ছিলেন কদিন আগেই।আসলে বোধহয় শক্তিপ্রদর্শন দরকার ছিল।বিজেপিকে তো বটেই, নিজের দলকেও।দলে গুরুত্ব ধরে রাখতে নাহয় একদিন কোভিড প্রোটোকল ভঙ্গ করে আনুগত্য উপভোগ করা গেল।