এক নজরে

#MamataBanerjee: “আব কি বার বিজেপি পগারপাড়”, বিরোধীদের কটাক্ষ মমতার

By admin

March 09, 2022

কলকাতা ব্যুরো: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের সময় তুলকালাম কাণ্ড বিধানসভায়। মোদীর নামে জয়ধ্বনি, জয় শ্রীরাম স্লোগান তুললেন বিজেপি বিধায়করা। গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের একবার বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে ধুন্ধুমার রাজ্য বিধানসভায়। বুধবার বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, বিজেপি দাঙ্গা সৃষ্টি করে কিন্তু, বাংলায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আছে। বাংলায় হুলিগানিজম চালাচ্ছে বিজেপি। নিজেদের এলাকায় জিততে পারে না, আবার বড় বড় কথা।

বুধবার বিধানসভা অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। শাসক এবং বিরোধী দলের জন্য এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট করে ধার্য করা হয়। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের জন্য নির্ধারিত ছিল ৫০ মিনিট। কিন্তু, শুরুতেই ঘটে বিপত্তি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ শুরু করতেই তুলমুল হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা।

এদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য উড়ে আসায় সভায় উত্তেজনা শুরু হয়। দু’জন সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কের শাস্তি অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান শুভেন্দু। ৭ তারিখ অধিবেশন কক্ষে কাজে বিঘ্ন ঘটিয়েছিলেন সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামী। এরপরই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে দুজনকে সাসপেন্ড করেন। কিন্তু, স্পিকার এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিরোধী বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিধানসভায় বিতর্ক সভায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁর ভাষণে দুর্গাপুজোকে ইউনেসকো স্বীকৃতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই বিজেপি বিধায়করা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলতে থাকেন। পালটা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন মুখ্যমন্ত্রীও। গোটা ভাষণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি এদিন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এক টাকা দেয়নি। লজ্জা করে না। দেশের সর্বনাশ করেছে। রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশন প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। তাঁর কটাক্ষ, আমরা চাই শিল্প হোক। ওরা চায় দুর্ভিক্ষ হোক। দেউচাতে এক লাখ চাকরি হবে। ছোট ও মাঝারি শিল্পের দেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ রাজ্যে।

মমতা আরও বলেন বিজেপির বিশ্রাম নেওয়ার দিন আসছে। আব কি বার বিজেপি পগারপাড়। তাঁর আরও সংযোজন, বাংলা উন্নয়নের শিখরে। বাংলায় শান্তিতে এগিয়ে। এভাবে বাংলার উন্নয়ন স্তব্ধ করা যাবে না। ওরা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে দিতে চাইছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শেষ হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
তবে শুভেন্দু অধিকারী এদিন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ফিয়ার সাইকোসিসে ভুগছেন। সব বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে যোগীজি আবার ক্ষমতায় আসছেন। তাই উনি বিজেপির মুখোমুখি হতে চান না। তড়িঘড়ি আজ রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক শেষ করে দেওয়া হল। এ ডর বহুত আচ্ছা লাগা।
বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ২০০৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরিটেজ বিধানসভা ভেঙে তছনছ করে দিয়েছিলেন। উনি নিজে স্পিকারের দিকে চাদর ছুঁড়েছিলেন। একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, আমাদের দলের দুই বিধায়ককে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, অধিবেশন চলাকালীন প্রতিদিন স্পিকারের কাছে এই সাসপেনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাবেন তিনি। পাশাপাশি, দুই বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায় বিধানসভার লবিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন।