পোশাক থেকে খাবার- সবের মধ্যেই থাকে রুচির এক নিদর্শন। যা গোটা পরিবারের সৃষ্টিশীল কর্মকান্ড সম্পর্কে একটা স্পষ্ট বার্তা দেয়। যা বলে বোঝানোর দরকার পড়ে না। একইসঙ্গে সমগ্র পরিবারটির রুচি, আদর্শ, শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি, পছন্দ সম্পর্কে অন্যকে আগ্রহী করে তোলার আরো একটি অঙ্গ- বাড়ি। হোক না সে সাতশ’ বা হাজার বর্গফুটের আস্তানা। কিংবা সামান্য দু’ কাঠা জায়গার ওপর গড়ে তোলা একখানি ছোট্ট বাড়ি। তা সে দু’কামরা বা তিন কামরার-যাই হোক না কেন! সেই ঠিকানাকেই নিজের মতো সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার মধ্যেও রয়েছে এক তৃপ্তি, সন্তুষ্টিও। কিংবা ধরা যাক এক চিলতে বাগান। তাও না থাকলে ছাদ বা বাড়ির ব্যালকনি। সেটিকেই বা কিভাবে সাজানো যায় নিজের রুচি অনুযায়ী?
ঘর সাজানো কিংবা বাগান তৈরির সঙ্গে আছে মনের যোগাযোগ। এরসঙ্গে পরিবেশ রক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা যদি এক সুতোয় গাঁথা যায় তখন সেই ইট-কাঠ-পাথরে গড়া বাড়িও যেন নতুন প্রাণ পায়। ঘর সাজানো যে সব সময় খুব ব্যয়সাপেক্ষ তাও নয়। যেমন, অতি সাধারণ কিছু সরঞ্জামে একজন সাঁওতাল রমণী সাজিয়ে তোলেন তাঁর ঘর। অতি গরিব কোনো মানুষের ছোট্ট ঘরেও মেলে পারিবারিক রুচির বহিঃপ্রকাশ। আবার আধুনিক কোনো গৃহ সজ্জাতেও রয়েছে আরো নানা উপকরণ।
বাড়ি-ঘর সাজানো কিংবা বাগান তৈরির নানা পথের সন্ধান আমরা দেবএই কলমে। সেটাই ভালো-বাসা, আমাদের ভালোবাসা।