কলকাতা ব্যুরো: কোথা থেকে এখানে এসেছিলেন কেউ জানে না। গত বছর খানেক তাঁর ঘর-বাড়ি ছিল গড়িয়াহাটের সেতুর নিচের ফুটপাথই। দিন দুই আগে বৃদ্ধ সুনীল দাসকে ধাক্কা দেয় একটি ট্যাক্সি। জখম হন তিনি। এমনিতেই শারীরিকভাবে কিছুটা অক্ষমতা ছিল তাঁর হাঁটাচলায়। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায় পুলিশ। কিন্তু জখম তাঁর দরকার ছিল আরও চিকিৎসা।
পুলিশ তাঁকে নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে যায়। কিন্তু ভর্তিকরা যায়নি। অভিযোগ, ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল। ফলে তাঁর আস্থানাতেই এক রকম বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন তিনি।
আজ সকালে সেখানেই তিনি মারা যান।
পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা ও পুলিশ তাঁর দেহ নিয়ে যাচ্ছেন ময়নাতদন্তের জন্য।
কেন তিনি মারা গেলেন জানা আছে সবার। তিনি বেঁচে থাকতে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা না কি পুলিশও করতে পারেনি। এখন তিনি মৃত। তাই রাষ্ট্র তাঁর ডিউটি যথাযথ পালন করবে পথে পরে মরে থাকায়। ময়নাতদন্ত হবে। তারপর বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে হয়তো ‘পুড়ে যাবে’ পুরসভার হিসেবের খাতায়। রাষ্ট্র তার দায় নেবে মৃতকে নিজের পয়সায় করবে দাহ।
আর তার আগেই হয়তো আর কোনও এক সুনীল এসে জায়গা দখল করবে গড়িয়াহাটের মোড়ে ওই জায়গার।