এক নজরে

কৃষকদের দাবি মানতে নারাজ সরকার

By admin

December 01, 2020

কলকাতা ব্যুরো : আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে সহমত হতে পারল না সরকার। আজ কেন্দ্র সরকারের থেকে একটি কমিটি করার প্রস্তাব দেওয়া হয় কৃষকদের সমস্ত দাবিদাওয়াগুলো বিবেচনা করার জন্য। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলির কেন্দ্র সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে ম্যারাথন মিটিংয়ে সরকারের দেওয়া প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি নয়। তাদের দাবি সরকার যে আইন প্রণয়ন করতে চলেছে সরকারকে তা প্রত্যাহার করতে হবে। পিটিআই সূত্রে এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার এর সরকার এবং আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির মিটিং হতে চলেছে বলে শেষ খবর পাওয়া গেছে।

বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে যে সমস্ত সংগঠন কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব করছিল তারা একযোগে সরকারের আনা তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। তারা মনে করছে কেন্দ্র সরকারের আনা তিনটি কৃষি আইন-কৃষক বিরোধী। কৃষক নেতারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে তারা এই আইনের ফলে ন্যূনতম মজুরি থেকে বঞ্চিত হবেন এবং বড় বড় কর্পোরেট সেক্টর গুলির দাসত্ব করতে হবে তাদের। আজ বিজ্ঞানভবনে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা কৃষক নেতাদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক হয়। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার রেল ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এছাড়াও হাজির ছিলেন পাঞ্জাবের এমপি সোমপ্রকাশ। মিটিং এর পরে ভারত কিষান ইউনিয়ন এর প্রেসিডেন্ট যোগেন্দ্র সিং জানান মিটিংয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি এবং সরকার ডিসেম্বরের ৩ তারিখ আর একটি মিটিংয়ে তাদের সঙ্গে বসতে চলেছেন।

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছেন এই ব্যাপারটার একটা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সমস্ত সংগঠনের কথা শুনে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ জন মেম্বার কে নিয়ে কৃষি বিলের সমস্ত কিছু দেখার যে প্রস্তাব সরকার থেকে দেওয়া হয়েছিল তা ভারত কিষান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রুপসিং সান হা সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য ভারত কিষান ইউনিয়ন এই আইনের সবথেকে বেশি বিরোধিতা করছে এবং তাদেরই সবথেকে বেশি সদস্য রয়েছে।

কিন্তু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে সরকার বিল বাস্তবে রুপায়ন করার জন্য বদ্ধপরিকর। রাজনৈতিক মহল থেকে খবর ছোট ছোট কৃষক ইউনিয়ন গুলির সঙ্গে সরকার আলাদা আলাদা করে বৈঠক করতে চাইছে যাতে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যায়। কৃষক ইউনিয়নগুলি আগেই তা আন্দাজ করে নাকচ করে দিয়েছে। সূত্রের খবর কৃষক ইউনিয়ন গুলির সঙ্গে বৈঠকের আগে রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, তোমার এবং গোয়েল ছাড়াও জে পি নাড্ডা আলাদাভাবে একটি মিটিং করেছিলেন। এদিকে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকেরা এখনো সিংহ এবং টিকরি বর্ডার এলাকায় জমায়েত হয়ে আছে। বিরোধীদলগুলো বিশেষত বামপন্থী দল গুলি কৃষকদের এই আন্দোলনকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছে এবং গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবার অনুরোধ জানিয়েছে।