এক নজরে

পতনের অভিমুখ

By admin

February 17, 2024

Who is’nt a fluke in life. As for me, I’ve only escaped from being just a fluke because I write, which is an act that is a fact.

ভোর হলেই কোকিল গলার রক্ত তুলে বসন্তের জানান দিচ্ছে আর সে একইদিনে সন্ধে রাতে এটিএম এর সাদা ফর্সা ফ্রস্টেড গ্লাসের এপাশে লম্বা চুলে হর্সটেল বাঁধা তুখোড় শরীরের অবয়ব রেখা সিল্যুটে ধরা, আমি তার কনটেন্ট দেখেছি। আমি এভাবেই ফর্ম সচেতন হয়েছিলাম। আপনার মশাই এ গল্প ভালো লাগবেনা তবুও আমি নিজেকে সম্প্রসারিত না করতে পেরে ভৃত্য হয়ে থাকাই শ্রেয় মনে করে নিলাম। আমি প্রকৃত নৈঃশব্দ্য খুঁজছি এইসব হত্যাপ্রবন আত্মরতির মধ্যে। সকালের ওই সুর সন্ধের রূপকল্প এসব নিয়েই এগিয়ে যাই পিছিয়ে আসি … এটুকুই আরকি।

ইদানিং একটা ট্র্যাজিক জিজ্ঞাসা আমাকে আতঙ্কিত করছে ভোর রাতের দিকে। আমি ঘড়ির কাঁটা দেখছিনা বেডসুইচ টিপে কিন্তু সময়টা অনুমান করতে পারছি তারপরই ওপাশের পাড়ায় মসজিদে আজানের ডাক এলো কানে। আমি কে- এ জিজ্ঞাসা আমাকে ভীত করছে এতটাই আমি কিছুক্ষণ পরে নাজেহাল হলে যে কোনো রকমের চিন্তা থেকে সরে আসছি। ঘুম ফিরছে না। নতুন স্বপ্নও। ধড়িবাজ নিজেই নিজেকে ভাবি আর বছরে বেশ কয়েকবার এ ঘটনাটা ঘটছে ফলে এই গল্পটা কিছুতেই শেষ করে উঠতে পারছিনা এখন এটা প্রায় সংগ্রামে পরিণত হয়েছে যার দরুন আমি আরও ক্লান্ত। একটা প্রিটেনশন। বলতে পারেন। একটা অহেতুক আতঙ্ক। পুরো বস্তাপচা দুর্গন্ধ ছড়ানোর একটু আগের পর্যায়ের কল্পনা। তারচেয়ে বড় ব্যাপার আমি এগুলো ঠিকমতো এনে আপনাদের কাছে তুলেও ধরতে পারিনা। সম্ভব হলে এ ব্যাপারে কোনোরকম করুণা দেখাতে রিফিউজ করুন প্লিজ।

এদিকে গাঁওয়াড় এর মতো মিমিকে নিয়ে আমার ফ্যান্টাসি টুকু জিইইয়ে রেখেছি। যাদের আমি দেখি মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের দোষী সাব্যস্ত করছে তাদের কি বিগত প্লেজার একটু বেশিই ছিল। মিমি এরকমই। জীবনে খুব কম বেঁচে মৃত্যুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। সফলভাবে এক শূন্যতার ঘুর্নায়ন ভেতরে ভেতরে। অস্তিত্বের স্বপক্ষে একটা চরিত্রের অভিনয় জারি রেখেছে মানুষ। আমাদের সবার গোটা জীবন নিজেরা টাইপ করে সেট করে রাখছি। চুলোয় যাক এখন আপাতত নিশ্বাস প্রশ্বাস ঠিকভাবে হচ্ছে। একটু আগেই নাকের একপাশ দিয়ে যেটুকু বাঁচা অনুভব করছিলাম সেটা নরকের দিকের বন্দোবস্ত। আচ্ছা মেডিক্লেমটা কি আছে না মেয়াদ শেষ!

সল্টলেকে ডক্টর সুদীপ দাসের চেম্বারে সেই কতবছর আগে শেষ জেনে এসেছিলাম। আমি দেরি করছি কারণ আমি আগামকে দেখতে চাই। আগেই জেনেছি সঞ্চয় কিছুটা স্বস্তি, নিরাপত্তা- ওটুকু পতনের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই। একটু খোঁজ নিলেও হয় ওরও বাঁচাটা কি কোনোকিছুর জন্যই প্রায় না … একটু চটকে গেলো ফেরাটা। রাস্তার ছোটখাটো ভাঙ্গা উঁচুনীচু সামলে হেঁটে এগোতে থাকলাম একটা দুঃখবোধ নিয়ে যেটা আনন্দ হাতড়ে না পাওয়ার ব্যর্থতা। বন্ধু, তুমি যে বয়ান রাখতে বলেছিলে আমার তাতে ভীষণ ভয় আমি শুধু নিজেকে এনকাউন্টার করছি।