এক নজরে

#SSC Scam : সাতসকালে পার্থ-পরেশ-শান্তি প্রসাদের বাড়িতে হানা ইডির

By admin

July 22, 2022

কলকাতা ব্যুরো: এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) এবার একসঙ্গে কলকাতায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মেখলিগঞ্জে পরেশ অধিকারীর বাড়িতে হানা দিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। পাশাপাশি রাজ্যের ১৩টি জায়গায় শুরু হয়েছে ইডি-র তল্লাশি অভিযান। এই অভিযানে রয়েছেন ৭০ থেকে ৮০ জনের গোয়েন্দাদের দল। এসএসসি-র (SSC Scam) উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তি প্রসাদ সিনহার সার্ভে পার্কের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি৷ পাশাপাশি বাদ যান নি শিক্ষা দফতর এর প্রাক্তন ডিরেক্টর এ কে সরকারও। এদিন তাঁর বাড়ি ফাল্গুনী আবাসনেও হানা দেয় ইডি।

এছাড়াও প্রাক্তন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি আধিকারিকরা। একই সঙ্গে পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী কমিটি ও বাগদার চন্দন মণ্ডলের বাড়িতেও গিয়েছে ইডি। প্রতিক্ষেত্রেই তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে চন্দন মণ্ডলের বাড়ি তালা বন্ধ, বাড়িতে কাউকে না পেয়ে বাড়ির সামনে অপেক্ষায় ইডির প্রতিনিধিরা। 

শুক্রবার সকালে সাড়ে আটটা নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এরপরই একে একে ১৩ জায়গায় তল্লাশির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন সকালে মোট ৮০ থেকে ৯০ জন ইডি আধিকারিক একসঙ্গে অভিযানে যান। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান ৭ থেকে আটজন। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়িতেও যান বেশ কয়েকজন অফিসার। বেআইনি পথে তাঁর মেয়েকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। হাই কোর্টে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিক হওয়ায় চাকরি খোয়াতে হয়েছে পরেশ কন্যা অঙ্কিতাকে।

মূলত এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) টাকা কীভাবে হস্তান্তর হয়েছিল, কোন কোন প্রভাবশালী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, এই টাকার দ্বারা কারা উপকৃত হয়েছিলেন, তা জানার জন্যই এ দিন সাতসকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হাজির হন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে শুক্রবার সকালে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। যদিও পরেশ অধিকারী ২১ জুলাই-এর সভায় যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন। তিনি এখনও কলকাতাতেই রয়েছেন।

তদন্ত নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দুটি পৃথক এফআইআর করেছিল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পাশাপাশি পরেশ অধিকারীকেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। কিন্তু গোটা ঘটনায় কত টাকার তছরুপ হয়েছিল, কোন কোন প্রভাবশালী আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছিলেন, তা দেখার জন্যই এ বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা ময়দানে নেমে পড়েছেন।

দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা একাধিক তথ্য এবং নথিপত্র সংগ্রহ করেন। সেখানে দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর রয়েছে। তিনি কীভাবে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হলেন, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।