কলকাতা ব্যুরো: তিনি নার্সিং হোমে রোগী দেখেন। এলাকায় ‘ব্যস্ত ডাক্তার’ বলে পরিচিতি। রোগী অসুস্থ। ভর্তি নিলেন রোগীকে। চিকিৎসা করলেন। তাঁর অপারেশন করতে হবে। নির্দেশ দিলেন দ্রুত টাকা জমা দেওয়ার। এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা পড়লো। তিনি অপারেশন করলেন। মারা গেলেন রোগী। মৃতের পরিবারই খবর জোগাড় করলেন, বজলুর রহমান ভুয়ো ডাক্তার। থানায় অভিযোগ করার পর বিধাননগর কমিশনারেট গ্রেপ্তার করলো জালি ডাক্তারকে।
দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে বজলুর রহমান ইকো পার্কের কাছে কাদের প্রচ্ছন্ন মদতে এতদিন মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন, তার বিচার হবে না।
একটা মানুষ মারার কল তৈরি করে একজন নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সেখানে এতদিন ব্যবসা চালানোর সুযোগ কি করে পেলেন তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যাবে না।স্থানীয় বাসিন্দা, স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় রাজনীতির মাতব্বররা এতদিন এই তথ্য জানতেন না, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না মৃত নিখিল রায়ের পরিবার।
বারাসাত নপাড়ার বাসিন্দা তাঁর ছেলে দীপঙ্কর রায়ের বক্তব্য, অসুস্থ বাবাকে ৩০ জুলাই ওই নার্সিংহোমে বজলুর রহমানের অধীনে ভর্তি করা হয়। এরপর ডাক্তারের নির্দেশে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা দেওয়া হয় অপারেশনের জন্য। ৩ আগস্ট অপারেশনের পর ১২ তারিখ তিনি মারা যান। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন জাল ডাক্তার বজলুর। এদিন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর কিছুদিন জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে আবার পুরোনো ব্যবসাই ফেঁদে বসবেন কি না তা কে দেখবে?