এক নজরে

বন্ধ খাদানেই মাটি ভরলো ইসিএল

By admin

November 30, 2020

কলকাতা ব্যুরো: ইস্টার্ন কোয়ালফিল্ডস লিমিটেডের কাজোরা ও কুনস্টরিয়া কোলিয়ারিতে সিবিআই হানার পড়ে তৎপরতা শুরু হলো ই সি এলে। কোলিয়ারির অন্যান্য এলাকায় বেআইনি খাদান বন্ধ করতে সোমবার শ্রীপুর এলাকায় গিরমিটে তৎপরতা দেখায় ইসিএল। বেশ কয়েকটি জায়গায় বেআইনি খাদন মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে মাটি ফেলে বন্ধ করা হয়। তারপরে কাজের নমুনা হিসেবে রীতিমতো ছবি তুলে নিয়ে চলে যান কর্তারা। কিন্তু সে সব কাজকর্ম দেখতে সংবাদমাধ্যম এলাকায় গেলে কিছু লোক ফাঁস করে দেন সে সব ভরাট রহস্য।

তারা বলেন, যে খাদানগুলির মুখ এদিন মাটি দিয়ে বন্ধ করা হল, সেগুলি বহুদিন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে আর এখন কয়লা পাওয়া যায় না। কিন্তু তার আশপাশের এলাকায় নতুন খাদান চালু রয়েছে। সেগুলোতে হাত দেয়নি ই সি এল। উল্টে যে বুলডোজার এদিন পুরনো খাদান বন্ধ করতে কাজে লাগিয়েছিল সংস্থা, সেটির মালিক নাকি এক বেআইনি কয়লা খাদান এর বড় মাতব্বর। ফলে সর্ষের মধ্যে ভূত এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে তারা দেখাচ্ছেন এ দিনের ঘটনা।

সিবিআই যেখানে তাদের দুটি কোলিয়ারির জেনারেল ম্যানেজার, নিরাপত্তা আধিকারিক সহ পাঁচ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরেও একশ্রেণীর সরকারি আধিকারিকের এমন ঘটনা ঘটানো কতটা অপরাধ গভীরে সেই প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। প্রকৃত বেআইনি খা দান ভরাট না করে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা অবৈধ কয়লা খাদানগুলি মাটি ভরাট করে বাহবা কুড়োতে চাওয়ার এই প্রবণতা নিয়ে বিরক্ত অনেকেই। কিন্তু এই এলাকার অর্থনীতির সঙ্গে বেআইনি খা দান এমন ভাবে যুক্ত যে অনেকেই মুখ বুঝে থাকতে বাধ্য হন।

আবার এলাকার চারটি  অবৈধ কয়লা খাদানের মালিক জনৈক শেখের বুল ডোজার এই মাটি ভরাটের কাজে লাগানো থেকে স্পষ্ট, এখানে সব ব্যবস্থাই নিজেদের মধ্যে চালু রেখেছে কয়লা কারবারি ও তাদের মাদতদাতারা। ঠিক একই ওই এলাকার বনবিষ্ণুপুর, রায়পাড়া, বকবাদী সহ আরো বেশ কিছু এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল  অবৈধ কয়লা খনন ও  কয়লার  অবৈধ ডিপোগুলি। সেখান থেকে নাম্বার প্লেট হীন বাইক, সাইকেল তুলে নিয়ে যাচ্ছে কয়লা। কিন্তু কোথাও কোনো বাধা নেই। উল্টে কাজ দেখাতে গিয়ে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মী অফিসার অপরাধের শিকড় কতো গভীরে কয়লা পাচারে তার হাতে গরম প্রমাণ তুলে দিলেন সিবিআই হানার পরেই।

যদিও ইসিএলের আধিকারিকরা বলছেন, কোনো বেআইনি কিছু হয়নি। উল্টে বেআইনি খাদান বন্ধ করতে অভিযান হয়েছে। সেখানে চালু, বন্ধ বিচার না করেই সব খাদান মাটি ভরাট করা হয়েছে।