এক নজরে

২৪ ঘণ্টা পরেও কাজ শুরু হয়নি দুর্গাপুর ব্যারেজের ভাঙ্গা লক গেটের

By admin

November 01, 2020

কলকাতা ব্যুরো: দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লক গেট ভেঙে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও তা মেরামতের কাজ শুরু করতে পারেনি সেচ দপ্তর। যদিও ব্যারেজের থেকে প্রায় পুরোটাই জল বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও গেটের কাছাকাছি কিছু জল থেকে যাওয়ায়, তা খুব ধীরে ধীরে বাইরে বেরোচ্ছে। এদিকে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল সব ছেড়ে দেওয়ায় পানীয় জলের সংকট শুরু হয়েছে দুর্গাপুর, বাঁকুড়ার একটা বড় অং শে । মেরামতি দ্রুত শুরু না হওয়ায়, দুর্গাপুরের মেয়রের সঙ্গে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার।

ব্যারেজের ভিতরে এর আগে যখন লকগেট ভেঙে গিয়েছিল তখন নিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে বালি ছিল। ফলে জল বেরোনোর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হয়নি তখন কিন্তু এখন সেই জায়গাতেই পাক আর কাদায় ভরে রয়েছে। তা সরিয়ে বালি বের করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ শেষ দপ্তরের কর্মীদের। এদিকে এখনো পর্যন্ত কাজ শুরুতে করতে না পারায় সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা ক্ষোভের মুখে পড়েছেন।

রবিবার সকালে ব্যারেজের অবস্থা খতিয়ে দেখতে যান দুর্গাপুরের মেয়র। কিন্তু কেন এখনো কাজ শুরু হয়নি তা নিয়ে তার রোষের মুখে পড়তে হয় সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের। যদিও শনিবার সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেরামতির কাজ শেষ হয়ে যাবে। বাস্তবে ২৪ ঘণ্টা পরেও কাজ শুরু হয়নি এবং ৭২ ঘণ্টার আগে আদৌ সব জল ফেলে কাজ শুরু করা যাবে কিনা, তা নিয়েও সন্দিহান সেচ দপ্তরের নিচুতলার অফিসাররা।

এদিকে ব্যারেজ থেকে সব জল ছেড়ে দেওয়ায় এখন পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে দুর্গাপুর এবং বাঁকুড়ার বড়জোড়া সহ আশপাশের এলাকায়। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল পরিশুদ্ধ করে এই দুই জেলার একটা বড় অংশই নাগরিকদের পানীয় জলের যোগান দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো কাজ শুরু না হওয়ায় পুরসভার গাড়িতে জল পাঠিয়ে নাগরিকদের সেই চাহিদা মেটানো সম্ভব নয় বলে একরকম জানিয়ে দিয়েছেন পুর কর্তারা। তাই তারা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করে শেষ করা হোক।