এক নজরে

আগামী সপ্তাহেই মুম্বাইয়ে তদন্তে ফের সক্রিয় হতে প্রস্তুতি এনসিবির

By admin

October 23, 2020

কলকাতা ব্যুরো: রেহা চক্রবর্তী বোম্বে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যাওয়ার পর কিছুদিন গ্রেপ্তারিতে ভাটা পড়ে ছিল। মাদক তদন্তে আবার এনসিবি তাদের তদন্তের গতি বাড়াতে চলেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। শুক্রবারে নারকটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর অধিকর্তা রাকেশ আস্তানা মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন। তার বিভাগের একাধিক দলের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ২২ জনকে সুশান্ত সিং রাজপুত রহস্যমৃত্যুতে মাদকের চক্রে যোগের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি। মূল অভিযুক্ত রেহা চক্রবর্তী জামিন পেলেও, তার ভাই সৌভিক এখনো জেলে। এনসিবি মুম্বাইয়ে প্রভাবশালীদের সঙ্গে মাদক যোগে একটা মাধ্যম সৌভিক বলে দাবি করেছে কোর্টে। এই যুক্তিতেই তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। এখন এনসিবি অধিকর্তার নতুন করে মুম্বাই আসা এবং ঘন ঘন বৈঠকে ইঙ্গিত আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবার বড় কিছু অভিমানে নামছে মাদক তদন্তকারী সংস্থা।

এই মাদকচক্রের তদন্তে নামার আগেই এনসিবি সারাদেশের মাদক ব্যবসা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে। যা পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। সেই রিপোর্টের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে ১৪২ টি ড্রাগ চক্র সক্রিয়। এই চক্রে ১৯ বলিয়ান মার্কিন ডলারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয়। দিনে দু কোটি লোক মাদক সেবনে যুক্ত। এর সিংহভাগই হেরোইনের নিয়মিত খদ্দের। নারকটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো র মাদকচক্র নিয়ে তৈরি করা সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এরমধ্যে কন্নর এবং হিন্দি সিনেমায় একটা বড় মাদক যোগ পেয়েছে এনসিবি। আন্তর্জাতিক এই মাদকচক্রের পশ্চিম ইউরোপ কানাডা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার একটা বড় যোগাযোগ রয়েছে। মূলত এই মাদকচক্রের সিংহভাগই হেরোইনের বাজারে সরবরাহে কাজ করে। এনসিবির সমীক্ষায় দাবি, দিনে দু কোটি লোক এক কেজি হেরোইন প্রতিদিন নেশা করে।

হেরোইন পাচারের একটা বড় ভরকেন্দ্র পাঞ্জাব। গত অর্থবর্ষে পাঞ্জাব থেকে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই বছরেই দেশের ৩৬ টা রাজ্য থেকে মাদক পাচারে গ্রেফতার ৭৪৬২০ জন। পাঞ্জাবের পাশাপাশি অধিকাংশ মাদক চক্র সক্রিয় হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানার একাংশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং গোয়ায়। এছাড়া কেরালা, তামিলনাড়ু, লাক্ষাদ্বীপেও বেশকিছু বড় পাচারকারী সক্রিয়। এর বাইরে কর্ণাটক, দিল্লিতে পাচারকারীদের সক্রিয়তা খুঁজে পেয়েছে এনসিবি।

মুম্বাইয়ে মাদক পাচারের একটা বড় চক্র আফগানিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মূলত আফগানিস্তান, পাকিস্তান হয়ে, আবার অন্যটা মোজাম্বিক, মালদ্বীপ হোয়ে ঢোকে।কোকেন আসে মূলত দক্ষিণ আমেরিকা অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে। ভারতে মাদক পাচারের একটা বড় ত্রিভুজ মায়ানমার, লাওস এবং থাইল্যান্ডকে ঘিরে। দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরান সবচেয়ে বেশি ভারতে মাদক পাচারে অভিযুক্ত। মূলত আকাশপথ এবং জল পথ এরা ব্যবহার করে মাদক পাচারের জন্য।

ইতিমধ্যেই এন সি বি ইউরোপ, ব্রিটেন, কানাডার মতো মাদক পাচারের এদেশের লিংক থাকা দেশগুলির নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে নিজেদের যোগাযোগ বাড়িয়েছে।