এক নজরে

দুর্গার নয় রূপ নটি ফল প্রদান করে

By admin

October 14, 2020

কলকাতা ব্যুরো : আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ তিথি। এই সময় থেকেই দেবীর আরাধনা শুরু হয়। দেবী দুর্গার নটি রূপ। যেদিন যার পূজো তার মূর্তি স্মরণ করে নিয়ম অনুসারে সেই পূজো করা উচিত। পণ্ডিতরা বলে থাকেন পবিত্র মন ও হৃদয় নিয়ে দেবীর রূপ স্মরণ করে এই নবরাত্রিতে দেবী আরাধনা করলে তার সুফল অবশ্যই পেয়ে থাকেন ভক্তরা।

নবদূর্গার প্রথম রূপ শৈলপূত্রি। শৈলপুত্রি পর্বতের কন্যা। মা শৈলপূত্রী মনোবল বৃদ্ধি করেন। দেবীর দ্বিতীয় রূপ ব্রহ্মচারীনী। ব্রহ্মচারীনী মনোসংযোগ বৃদ্ধি করেন। দেবীর তৃতীয় রূপ চন্দ্রঘণ্টা। দেবীর মহিষাসুর বধের জন্য দেবরাজ ইন্দ্র দেবীকে ঘন্টা দান করেন । এই ঘন্টার মধ্যে ইন্দ্রের বাহন গজরাজ ঐরাবতের মহাশক্তি নিহিত ছিল। মা চন্দ্রঘণ্টা সাংসারিক সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি দেন। দেবীর চতুর্থ রূপ কুষ্মন্ডা। দুর্বিষহ ত্রিতাপ হলো কুষ্মা। যিনি এই ত্রিতাপ নিজের উদরে ধারণ করেন অর্থাৎ সমগ্র সংসার ভক্ষণ করেন তিনিই কুষ্মন্ডা। এই রূপে দেবী সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেন। পঞ্চম রূপ স্কণ্ডমাতা। অর্থাৎ দেব সেনাপতি কর্টিকেয়র মা। এই রূপে দেবী সমস্ত রকম অশান্তি নাশ করেন। ষষ্ঠ রূপ দেবীর কাত্যায়নী। ব্রজের গোপবালারা মায়ের এই রূপের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণকে পতি রূপে পাবার জন্য। কাত্যায়নী আসলে ব্রজের দূর্গা। মা কাত্যায়নী শত্রু নাশ করেন।

দেবীর সপ্তম রূপ কালরাত্রি। ঋগবেদের রাত্রিসুক্তে পরমাত্মাই রাত্রিদেবী। মহাপ্রলয় কালে এই রাত্রি রুপিনি মাতার কোলে বিলয় হয় বিশ্বের। অনন্ত মহাকাশে নৃত্যরত কালভৈরভের দেহ থেকে আবির্ভূতা এই দেবী যোগনিদ্রা মহাকালিকা বা কালরাত্রি নামে পরিচিত। মা কালরাত্রি অল্প বয়সে কোনো ফাঁড়া থাকলে তা নাশ করেন। অষ্টম রূপে দেবী মহাগৌরী । তিনি সন্তান বৎসলা। মা দুর্গার প্রসন্ন মূর্তি তিনি। কারো বাড়িতে বিবাহজনিত কোনো সমস্যায় তার ধ্যান করা উচিত বলে পন্ডিতবর্গের মত। নবম রূপে দেবী সিদ্ধিদাত্রী। অপরূপ লাবণ্যময়ী চতুর্ভুজা, ত্রিনয়নী, প্রাতসূর্যের মতো রঞ্জিত যোগমায়া মহেশ্বরী । ইনি সকল কাজে সিদ্ধি প্রদান করেন।