কলকাতা ব্যুরো: সংক্রমণ, মৃত্যু, সুস্থতা, করোনা সংক্রমণের এই তিন পরিসংখ্যানেই স্থিতাবস্থাই যেন নিয়ম হয়ে গেল বাংলায়। কীভাবে এই স্থিতিশীলতা বজায় থাকছে দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ, তার কোন ব্যাখ্যা কিন্তু মিলছে না।এসম্পর্কে না কিছু বলছেন বিশেষজ্ঞরা, না বলছে রাজ্য সরকার। অথচ করোনা টেস্টের বাড়া, কমা আছে। এতদিন বলা হত, টেস্ট বাড়লে বেশি সংখ্যায় আক্রান্তের খোঁজ মিলবে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ইত্যাদি জেলায় এই তত্ত্বের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।কিন্তু সামগ্রিক ভাবে রাজ্যের ক্ষেত্রে তেমন প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। আগের তুলনায় টেস্ট প্রতিদিন এখন অনেক বেশি হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যায় কিন্তু তার প্রভাব নেই। বাড়তে বাড়তে এখন রোজ ৪৭ হাজারের বেশি লোকের টেস্ট হচ্ছে। কিন্তু সংক্রমণে সেই স্থিতাবস্থাই চলছে। সোমবার ৪৭,৫৩৭ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। রবিবারের চেয়েও বেশি। কিন্তু সংক্রমণ রবিবারের চেয়ে সামান্য হলেও কম।গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩,২১১। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতেও স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫৩, আর সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৪৮১ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ওই দুটি সংখ্যা হল ৫৫৯ ও ৫৩৬।রাজ্যে সোমবার পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২,০৫,৯১৯। আর এই সময়ে রাজ্যে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১,৭৮,২২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যাটা ৩,০৮৪। সুস্থতার হার এদিন ছিল ৮৫,৫৫। তবে এই স্থিতাবস্থার মধ্যে ধীর গতিতে হলে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার পার হয়ে গেল। সোমবার সংখ্যাটা হয়ে গেল ৪,০০৩। দৈনিক মৃত্যু কিন্তু সেই ৬০-র কাছাকাছিই আছে।গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জন। কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের, উত্তর ২৪ পরগনায় ১০, হাওড়ায় ৭, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫, নদিয়ায় ৩, ২ জন করে পুরুলিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে, ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে।