এক নজরে

বিমানে সংক্রমণের আশঙ্কা

By admin

August 27, 2020

কলকাতা ব্যুরো: উপসর্গহীন রোগী যাত্রী হিসেবে বিমানে অন্য যাত্রীদের মধ্যে করোনা ছড়াতে পারেন। সমীক্ষা করে এমনই রিপোর্ট দিয়েছে সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনসন বা সিডিসি।ফক্স নিউজে বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশ হওয়া এই খবর এবার চাপ বাড়াতে পারে আনলকে কিছু কিছু করে যাত্রী বিমান চালু করা দেশগুলিকে। ইতিমধ্যে এ দেশে কিছু রাজ্যের মধ্যে উড়ান পরিসেবা চালু হয়েছে। আবার অনিয়মিত ভাবে বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বিমান পরিসেবা চালু হয়েছে ভারতের নির্দিষ্ট কয়েকটি বিমানবন্দর থেকে। এই অবস্থায় সিডিসি-র রিপোর্টের কোনো প্রভাব আদপে পরে কি না তা দেখতে হবে।মার্চের শেষের দিকে মিলান, ইটালি, দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নিজের দেশের যাত্রীদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বিমান পরিসেবার ব্যবস্থা হয়। প্রায় ১১ ঘন্টা ৩১০ জন যাত্রী নিয়ে বিমান ওড়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ১১ জনের করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁদের ছাড়াই উড়ে যায় বিমান।সংক্রমণ যাতে কোনো ভাবে না ছড়ায় সে জন্য কেবিন ক্রু-রা কোরিয়া সেন্টার্স ফর ডিসিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনসন বা কেসিডিসি-র গাইডলাইন ফলো করে নজর রাখেন যাত্রীদের উপর। এন-95 মাস্ক পরা থেকে শুরু করে যাবতীয় নির্দেশ মেনে যাত্রা শেষ করেন যাত্রীরা। ২ এপ্রিল প্রথম কোয়ারইন্টাইনে দিনে ছ’জন যাত্রীর পজিটিভ ধরা পরে। কিন্তু তাঁদের প্রথমে কোনো উপসর্গ ছিল না। এই ভাবে সরকারি ব্যাবস্থায় সব যাত্রীকে রেখে পরীক্ষার পর ধীরে ধীরে বেশ কিছু যাত্রীর করোনা চিহ্নিত হয়।আবার ৩ এপ্রিল মিলান থেকে দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছনো বিমানের যাত্রীদের উপরে সমীক্ষা চালিয়েও একই রকম ফল পান গবেষকরা।তাঁদের মত জানানোর পাশাপাশি সংক্রমণ আটকাতে কিছু উপায়ও বাতলেছেন গবেষকরা।প্রথমত মাস্ক বিমানে চড়ার আগে পড়তেই হবে। বিমানে যে কোনো জায়গাই আগে থেকেই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। তাই প্রতি মুহূর্তে হাত ধোয়া বা পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। আর যতটা সম্ভব অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি বলে মনে করছেন গবেষকরা।এই অবস্থায় বিমানে আসন বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারের রাশ টানাই করোনা সংক্রমণ রোখার একমাত্র পথ কি না তা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে।