এক নজরে

ছট পুজোয় মানতে হবে একগুচ্ছ বিধি

By admin

November 10, 2020

কলকাতা ব্যুরো: রাজ্য সরকার কোনও রূপরেখা তৈরি না করায় আসন্ন ছট পুজোয় করণীয় গাইডলাইন তৈরি করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, কোনভাবেই এবার নির্দেশ অমান্য করা যাবে না। সেক্ষেত্রে এবার করোনা আবহে নির্দেশ অমান্য করা আত্মহত্যার শামিল হতে পারে।

ছট পূজার বাজি জ্বালানো নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কালী পুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজো যেসব জায়গায় বড় আকারে হয়, সেখানে লোকাল ট্রেন পুজোর দিন গুলো না দাঁড় করাতে যে মামলা হয়েছিল, সে ব্যাপারেও রাজ্য সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষনে বলেছে, বুধবার থেকে যে লোকাল ট্রেন চালানো শুরু হচ্ছে, তা এই উৎসব মিটে গেলেই কার্যকর করলে স্বস্তিদায়ক হত। পুজোর দিন গুলিতে লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা যায় কিনা, তা ভেবে দেখার জন্য রাজ্যকে অনুরোধ করেছে হাইকোর্ট।

আতশবাজির ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করবে পুলিশ। যদিও আদালতের ইচ্ছা ছিল, যে বাজি নির্দেশের অন্যথা হলে সংশ্লিষ্ট জেলা সাশক, পুলিশ সুপাররা দায়ী থাকবেন। কিন্তু রাজ্য চাইছে যে আদালত প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখুক। তাই আমরা আদালত ডি এম, এস পি বা সিপি দের ওপর দায় চাপাচ্ছে না। তবে নির্দেশ কড়া ভাবে মানতে হবে। যেখানে যেখানে ছট পূজা হয়, সেখানে রাজ্য প্রতিনিয়ত প্রচার চালাবে যে প্রতি পরিবার থেকে দুই জনের বেশি জলাশয়ে যাবে না। শোভাযাত্রা চলবে না। ঢাক বা ছোট বাদ্যযন্ত্র ছাড়া বাজনা (DJ) চলবে না।

খোলা যানবাহনে করে জলাশয়ে আসা যেতে পারে। যদিও সবাই জলাশয়ে যেতে পারবেন না। সীমিত সংখ্যক মানুষ যাবেন। সুভাষ সরোবর আর রবীন্দ্র সরোবরে ছট নিষিদ্ধ। কে এম ডি এ সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করেছে তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো নির্দেশ না দিলে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ কড়া ভাবে মানতে হবে।কলকাতা বা রাজ্যের অন্য স্থানীয় পুর প্রতিনিধিদের দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চালাবে। প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দিতে হবে বাজি সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য। ১২ নভেম্বরের মধ্যে এটা করতে হবে।

কালীপূজা এবং জগদ্ধাত্রী পূজার দিন রেল নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি রাজ্যের ওপর ছাড়া হলো। রাজ্য রেলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদ্ধক্ষেপ ঠিক করবে।যদি কোথাও ভিড় সামলাতে সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ১৪৪ ধারা জারি করতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বক্তব্য, কোনমতেই যাতে বায়ুদূষণ বাড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেয় সরকারকে। হাইকোর্টের জারি করার নির্দেশ পালন করা হলো কিনা সে ব্যাপারে ছট পুজো মিটে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।এর আগে ছট পূজোয় করোনা বিধি বাস্তবায়িত করতে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চায় আদালত। কিন্তু রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এত লোকের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য কোন মেকানিজম রাজ্যের নেই। তাতে আদালত বিরক্ত হয়। শেষ পর্যন্ত শুনানি করে আদালত নিজেই গাইডলাইন তৈরি করে দেয়।