এক নজরে

জেলে অনুব্রতকে জেরা সিবিআই আধিকারিকদের

By admin

August 30, 2022

কলকাতা ব্যুরো: মঙ্গলবার জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করল সিবিআই। মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় আধঘণ্টা দুজনকে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তবে অনুব্রত মণ্ডল তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি সিবিআই আধিকারিকদের।

উল্লেখ্য, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনও তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না বলে জানিয়েছিল সিবিআই।এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ সিবিআইয়ের চার আধিকারিক পৌঁছে যায় আসানসোলের বিশেষ সংশোধোনাগারে। সেই দলে ছিলেন গরুপাচার তদন্তের আইও সুশান্ত ভট্টাচার্যও।

তবে দেখা যায়, একজন আধিকারিক জেরা করতে জেলের অন্দরে ঢোকেন। বাকিরা ফিরে যান। জেল সূত্রে খবর, প্রথমে সায়গল হোসেনকে অন্য একটি কক্ষে তলব করা হয়। তাঁকে ১৫ মিনিট মতো জেরা করা হয়।

এরপর আলাদাভাবে ২০ মিনিট অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হয়। ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ জেল থেকে বেরিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিক। তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান অনুব্রত কি তদন্তে সহযোগিতা করছেন? জবাবে একটিমাত্র শব্দ খরচ করেন সিবিআই আধিকারিক- ‘না’।

সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রতর বিরুদ্ধে। জেলেও তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে স্পষ্ট করে দিলেন সিবিআই আধিকারিক। এরপর তদন্তকারী আধিকারিক সোজা চলে যান আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে।

এদিন বোলপুরে উদ্ধার হওয়া নামী-বেনামী সম্পত্তি, অনুব্রতকন্যা সুকন্যার নামের বিপুল সম্পত্তি এই বিষয়গুলি নিয়েই অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকী, সায়গলের নামে ৪৯টি ডিড উদ্ধার হয়েছে। সেই সম্পত্তির মালিক কি সায়গল নাকি বকলমে অনুব্রতই, এদিন তা জানার চেষ্টা করে সিবিআই কর্তারা।