কলকাতা ব্যুরো: রেহা চক্রবর্তীর দিকে চোখ ফেরানোর আগেই ‘খুচরো জটেই’ এখনো আটকে সিবিআই তদন্তকারীরা। সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জট ছাড়াতে এখন তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাটের কর্মী-চাকর-রাঁধুনি থেকে বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আর প্রথম দফায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই পরস্পর বিরোধী তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের কাছে।
তদন্ত হাতে নেওয়ার পরেই সিবিআই সুশান্তের ফ্ল্যাটে গিয়েছিল। তাঁর রাঁধুনি দীপেশ ও আরেক কর্মী নীরাজ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আবার গত দু’দিন ধরে তাঁরা জেরা করছেন সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানির সঙ্গে।
- সিবিআইকে দেওয়া বয়ানের সঙ্গে আগের বয়ান মিলছে না
- ময়নাতদন্তের ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা আগে মারা গিয়েছিলেন সুশান্ত
- সুশান্তের দেহ দেখতে মর্গের ভিতরে রেহার ঢোকার সুযোগ কে করে দিলো
এর আগেও সিদ্ধার্থ পিঠানিকে একবার জিজ্ঞেসাবাদ করে সিবিআই। নীরজের সঙ্গেও দু’বার কথা বলেছিলেন তদন্তকারীরা। আবার মুম্বাই পুলিশও এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কিন্তু এখন সিবিআইকে দেওয়া বয়ানের সঙ্গে এদের আগের সেই বয়ান মিলছে না বলে খবর।
আবার সিবিআইয়ের কাছে নতুন উঠে আসা তথ্য বলছে, ময়নাতদন্তের ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা আগে মারা গিয়েছিলেন সুশান্ত। তবে রাতেই কেন তাড়াহুড়ো করে ময়না তদন্ত হলো তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তদন্তকারীদের।
এরইমধ্যে সুশান্তের দেহ দেখতে মর্গের ভিতরে রেহার ঢোকার সুযোগ কে করে দিলো তা নিয়েও খোঁজখবর শুরু করেছে সিবিআই। কারণ রেহার সে সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। তাই রেহাকে ডাকার আগে এমন বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট হয়ে নিতে চাইছেন তদন্তকারীরা।