এক নজরে

#Bengal Violence : নূপুর শর্মা বিতর্কে বিক্ষোভের জেরে রাজ্যের ক্ষতির পরিমাণ কত?

By admin

June 27, 2022

কলকাতা ব্যুরো: নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের কারণে ক্ষতির পরিমাণ কত, তা যাচাই করতে হবে জেলাশাসকদের। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ক্ষতিগ্রস্তরা জেলাশাসকদের দ্বারস্থ হতে পারবেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ছয় সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসকদের রিপোর্ট পেশ করতে হবে হাইকোর্টে।

একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা পুরসভা এলাকার বিক্ষোভের ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে। কোথা থেকে কখন কীভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করা হল, তাও উল্লেখ করতে হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। ২৮ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।

এদিন মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী বলেন, বেলডাঙার অশান্তিতে স্থানীয় গোলমালের ভিডিয়ো ফুটেজ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আদালতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও মিনিট খানেকের ফুটেজে হামলাকারীরা এসে ক্যামেরা ভেঙে তারপরে হামলা করছে বলে দেখা যাচ্ছে । রেজিনগর, বেলডাঙা দু’টি থানাতেই হামলা হয়েছে। তাদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক।
তিনি আরও বলেন, বেলডাঙায় পুরসভার পক্ষ থেকে ১৩৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসান হয়েছে। তার ফুটেজ সংগ্রহ করুক তদন্তকারী সংস্থা তাহলেই হামলাকারীদের চিহ্নিত করা যাবে। সিএএ নিয়ে গোলমালে ২০১৯ সালে এই বেলডাঙায় একইরকম হামলার মুখে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় হামলা পরিস্থিতিতে বহু বাড়ি, দোকানে ক্ষতি হয়েছে। তাদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। আগে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরে হামলাকারীদের থেকে সেই টাকা আদায় করা হোক।
আরেক আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, পুলিশ হলফনামা দিয়ে দাবি করেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অথচ বিরোধীরা গোলমালের এলাকায় গেলে ১৪৪ ধারা জারি হচ্ছে। সভার অনুমতি দিচ্ছে না।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, রেজিনগর, শক্তিপুর, বেলডাঙায় ভরসা যোগাতে পুলিশ টহলে দিচ্ছে। ফুটেজ পরীক্ষায় রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই। তবে সময় দিতে হবে।