এক নজরে

আপাতত অনাস্থায় আস্থা নেই বিজেপির

By admin

July 15, 2020

কলকাতা ৩৬১° ব্যুরো: আপাতত রাজস্থানে অশোক গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে আগ্রহী নয় বিজেপি। বরং সচিন পাইলটকে উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর জল কোন দিকে গড়ায় তাই মাপতে চাইছে গেরুয়া শিবির।রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি বিজেপির সুচিন্তিত পরিকল্পনা। কারণ সচিন পাইলট শিবিরের বিধায়করা ভোট দানে বিরত থাকলেও এখনই কংগ্রেস সরকার পরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি, তৈরি হয়নি মরু রাজ্যে।২০০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের রয়েছে ১০৩ জন, সেখানে বিজেপির ৭২জন। এছাড়াও ১৩ জন নির্দল সমর্থন করছে কংগ্রেসকে। ৩ জন বিজেপিকে। তাই সচিন পাইলট শিবিরের যে ১৮জন বিধায়ককে আইনি নোটিশ ধরিয়েছে কংগ্রেসের চিফ হুইপ, তাতেও সরকার গড়তে পারবে না ভাজপা।

সচিন পাইলট অবশ্য এদিনও বলেছেন, আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না। যে নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আই এম এ কংগ্রেসম্যান। তাঁর শিবিরে থাকা কংগ্রেস নেতারাও তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিষয়ে আইনজ্ঞদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করছেন। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ওই পদক্ষেপকে ‘বেআইনি’ ও বলছেন তাঁরা। এদিনই তার ক্যাম্পের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা সচিনের। সেখানেই ঠিক হওয়ার কথা, তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ ও কৌশল। রাজস্থান বিজেপি বেতৃত্বের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, দলের নীতি আদর্শের প্রতি কেউ আস্থা দেখালে তাদের সকলের জন্যই দলের দরজা খোলা।

অশোক গেহলট অবশ্য দিন কয়েক আগেই অভিযোগ করেন বিধায়ক প্রতি ২৫ কোটি টাকা দিয়ে কংগ্রেস এবং তার সমর্থনকারী বিধায়কদের কিনতে চাইছে বিজেপি। রাজধানী শহর জয়পুরেই হচ্ছে ওই লেনদেন।

১৯ জুলাই রাজস্থানের তিনটি রাজ্যসভার আসনে ভোট । কংগ্রেসের এই বিপর্যয় সেই ভোটেই বা কি প্রভাব ফেলে, সেটাও দেখার।তবে ২০১৮ র ভোটে হিন্দি বলয়ের যে দুটি বড় রাজ্যে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস, এখন তার দুটি নিয়েই অস্বস্তিতে দল। মধ্যপ্রদেশের পর রাজস্থান। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পর সচিন পাইলট। দুজনেই ছিলেন রাহুল গান্ধির ইয়ং বিগ্রেডের দুই উজ্জ্বল মুখ। কংগ্রেসের দুই তরুণ তুর্কি। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের দায় মাথায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল। এবার দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন বাকি দুজনেরও।