এ রান্নায় জলদি বলে কিছু নেই। একটু খাটতেই হবে। না-হলে তাল ফুলুরি বানানো যাবে না। তাল সকলের প্রিয় না-ও হতে পারে। কিন্তু এই তালের ফুলুরি বরাবর গোপালের প্রিয় খাবার। তাই জন্মাষ্টমীর সময়ে, এই শ্রাবণ-ভাদ্রের সন্ধিক্ষণে অসংখ্য বাঙালি বাড়িতেই তাল ফুলুরি তৈরির প্রথা বহু কালের। মা-ঠাকুমার হাতের সেই পদ এই প্রজন্মের কাছেও তার জনপ্রিয়তা হারায়নি এতটুকু।
উপকরণ: কাওয়া তাল: ১টি নারকেল কোরা: ১ মালা চালের গুঁড়ি: ৩০০ গ্রাম (মিক্সিতে বাটা)
চিনি: ১৫০ গ্রাম
কালো জিরে: ১ চা চামচ খাবার সোডা: ১ চিমটি
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
সর্ষের তেল: পরিমাণ মতো
পদ্ধতি: একটি পাত্রে কাওয়া তাল (গোটা তাল থেকে বের করে নেওয়া শাঁস) নিয়ে তাতে চালের গুঁড়ি (বিকল্প হিসেবে আটা বা ময়দাও ব্যবহার করা যেতে পারে), নারকেল কোরা, চিনি, নুন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর সেই মিশ্রণে কালো জিরে ও খাবার সোডা দিয়ে ভালো ভাবে বেশ কিছুক্ষণ ফেটাতে হবে। এবার সেই মিশ্রণটি ঢাকনা দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এর পর কড়াই গরম করে তাতে একটু বেশি করে সর্ষের তেল দিয়ে তা ভালো করে গরম করে নিতে হবে এমন ভাবে যাতে ধোঁয়া উঠে না-যায়। আগে থেকে তৈরি মিশ্রণটি নিয়ে আরও কয়েক বার ফেটিয়ে নিয়ে, ছোট ছোট ফুলুরির মাপে হাত দিয়ে ছেড়ে দিতে হবে গরম তেলে। অনেকগুলি (১০-১২টি বা কড়াইয়ের সাইজ অনুযায়ী) একসঙ্গে দিয়ে তা উল্টেপাল্টে ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে ছানতা দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। ভাজা ফুলুরি থেকে তেল ঝরিয়ে নিয়ে পরিবেশন করতে হবে। গরম বা ঠান্ডা, দুটোই সমান উপাদেয়।