এক নজরে

প্রবেশ বন্ধ বেলুড়মঠে

By admin

October 14, 2020

কলকাতা ব্যুরো : মূল মন্দিরের ভিতরে এবছর পুজো হবে বেলুড়মঠে। ১৯ বছর পর এভাবে আবার দুর্গাপূজো হচ্ছে মঠে। ১১৯ বছরের পুজো এটি। কিন্তু এবছর পুষ্পাঞ্জলি দিতে বা দর্শন করতে ভক্ত ও দর্শনার্থীরা মূল চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে পূজো সরাসরি দেখা যাবে মঠের নিজস্ব ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউব চ্যানেলে।

পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার হাওড়া পুলিশের সঙ্গে মঠ কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পক্ষ থেকে স্বামী জ্ঞানানন্দ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর ছোট আকারে পুজো হবে। কুমারী পুজো হবে তবে সবকিছু দূরত্ব বিধি মেনে। এই বিষয়টি পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়। ১৯০১ সালে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেন স্বামী বিবেকানন্দ। পুরনো ঠাকুরঘর ও স্বামীজীর ঘরের মেঝের অংশে হোগলা পাতার ছাউনি দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল সে বছর। পরে শ্রী রামকৃষ্ণ মন্দিরের ভেতরে পুজোর আয়োজন করা হতে থাকে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল ২০০০ সাল পর্যন্ত। কিন্তু দুর্গা পুজোর চার দিন বিশেষত কুমারী পুজোয় ভক্তদের ভিড় প্রতিবছর ক্রমশ বাড়তে থাকে। ফলে মূল মন্দিরের ভেতরে জায়গার অভাব দেখা দেয়। সংলগ্ন মাঠে জায়গা করে ভেতরে অস্থায়ী কংক্রিটের বেদি তৈরি করে সেখানে শুরু হয় পূজো। করোনার জন্য এবছরে আবার মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে।

বৈঠকে আরো আলোচনা হয়েছে যেহেতু কোন ভক্ত অথবা দর্শনার্থী মন্দিরে প্রবেশ করবেন না তাই মঠের ভেতরে থাকবেন না কোন স্বেচ্ছাসেবক। দূরত্ব বিধি মেনে সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারী সবাই মিলে একসঙ্গে পুজো করবেন। করনার জন্য এবছর প্রসাদ বিতরণ ও বন্ধ থাকছে। প্রাথমিকভাবে এ কথা ঠিক হয়েছিল মূল গেটের বাইরে বড় পর্দায় পুজোর ছবি সরাসরি দেখানো হবে। অত্যাধিক জন সমাগমের আশঙ্কা করে এবং পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে ভক্তদের কথা মাথায় রেখে পূজোর সামগ্রী গেটের বাইরে ভক্তরা যাতে দিয়ে যেতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে।