এক নজরে

নদীর প্রবল স্রোতেই বাংলাদেশে পৌঁছে যায় মালপত্র

By admin

August 24, 2020

কলকাতা ব্যুরো: প্রবল বৃষ্টিতে নদীতে জল বাড়ছে বলে একপক্ষ যখন হা হুতাশ করছে, তখন এই বাড়ন্ত জলেই লক্ষী দেখছে আরেকপক্ষ। ধরে নিচ্ছেন, মৎস্যজীবীদের পোয়াবারো! মোটেই নয়। বাজার ভালো হচ্ছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চোরাকারবারিদের। বিএসএফ সেই চোরাচালান আটকে দেওয়ায় এই পথে চোরাচালান নিয়ে চলা কানাঘুষো আরও স্পষ্ট হলো। গঙ্গা নদী দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের সময় ৫৭৫ বোতল ফেনসিডিল বাজয়াপ্ত করলো বিএসএফ।

ঘটনাটি মালদায় ফরাক্কায় রবিবার রাতে ঘটে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী রাতে পাহারার সময় তাদের নাইট ভিশন ক্যামেরায় সন্দেহজনক কোনো বস্তু গঙ্গা নদী দিয়ে ভেসে যেতে দেখেন। বাহিনী দ্রুত স্পিড বোট নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে গিয়ে বস্তুটির ভেসে যাওয়া আটকান। পরে কিছুটা নিশ্চিত হয়ে তাঁরা দেখেন, ফেনসিডিল বোতল ভরা একটি ব্যাগ গঙ্গার কিছুটা ধার দিয়েই বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছিল।

নিম্ন চাপের বৃষ্টি আর ভরা কোটালের জেরে গঙ্গার জলস্তর যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফরাক্কা ব্যারেজের লকগেটগুলি জলের চাপে প্রায় ভেঙে পড়ার জোগাড়। জলের চাও কমাতে কিছু গেট খোলার সাথে সাথে নদীর জল প্রবল বেগে বেরোতে থাকে। আর এরই সদ্ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। বিভিন্ন মোড়কে ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে পশুপাখির পাশাপাশি ফেনসিডিল, তামাক এবং বিড়ি পাতা ইত্যাদি পাচারের চেষ্টা চলে নদী পথে। আর নদীর জল বাড়লে বাড়ে ব্যবসার গতিও। ওইসব মাল নদী দিয়ে বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাওয়া এবং ওপারে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছনোর পর বাংলাদেশের চোরাচালান কারবারিরা নৌকায় সেসব তুলে নেয়। সে ভাবেই ছক করে যাচ্ছিল ফেনসিডিল। কিন্তু বিএসএফের নাইট ভিশন ক্যামেরা বরবাদ করে দিলো এমন ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য’।