%%sitename%%

এক নজরে

ইতিহাসের আলোয় অযোধ্যা বিতর্ক

By admin

August 05, 2020

কলকাতা ব্যুরো: বছর কয়েক আগে একটি মন্তব্য করে ফের পুরানো বিতর্কটি উস্কে দিয়েছিলেন খোদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। তাঁর বক্তব্য ছিল, সে সময় গান্ধি পরিবারের কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকলে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হতে দিতেন না। রাহুল এ কথা বলতেই পারেন, কারণ ১৯৯২-র ৬ ডিসেম্বর যেদিন বাবরি ধ্বংস হয়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসেরই পিভি নরসিমা রাও।

বাবরি ধ্বংসের আগে থেকেই বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর আসছিল, আঘাত হানা হতে পারে বাবরি মসজিদের ওপর। তার ভিত্তিতেই ২৩ নভেম্বর ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন কাউন্সিলের বৈঠক ডাকে কেন্দ্র। বিজেপির কোনো প্রতিনিধি অবশ্য ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকে মসজিদটি রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওকে। তা সত্ত্বেও কিন্তু তিনি বাবরি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

এ যদি হয়, নরসিমার বিরুদ্ধে সমালোচনা, তবে রাজীব গান্ধিও কিন্তু বিতর্কের ঊর্ধ্বে নন। শাহবানু মামলায় তাঁর সরকারের অবস্থানে প্রবল বিরোধিতার ঝড় বইতে শুরু করেছিল তৎকালীন রক্ষনশীল মুসলিম সমাজের মধ্যে। হিন্দু জনমতও যাতে বিপক্ষে চলে না যায়, সে কারণে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিটির তালা খুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি। সে সময় এটাই ছিল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। সে ঘটনার পরেই নতুন গতি ও মাত্রা সঞ্চয় করেছিল রাম জন্মভূমি আন্দোলন।