কলকাতা ব্যুরো: আগামীতে শীতের মরশুমে লাদাখ সীমান্তে চিনকে চাপে রাখতে অটল টানেল দেশের সেনাবাহিনীর কাছে বড় আশীর্বাদ হতে পারে বলে মনে করছেন সেনা কর্তারা। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই লাদাখ সীমান্তে সংযোগকারী এই অটল টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পথ চালু হলে এরপরে সারা বছরই ওই পথে লে -লাদাখ কারগিলের সঙ্গে দেশের অন্য অংশের নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সেনা কর্তারা।রোটাং পাস প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি চালু হয়ে গেলে লে -মানালি হাইওয়েতে রোটাং পাসে বরফ জমে আর রাস্তা বন্ধ হয়ে থাকার সমস্যা থাকবে না। কেননা শীতের সময় এই রাস্তায় রোটাং পাস বরফের পাহাড় জমে যাওয়ায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণেই এই টানেল -রাস্তাটি বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সেনা কোয়ার্টার।অটল টানেল চালু হয়ে গেলে লে -মানালি হাইওয়ের শীতে বন্ধ হয়ে থাকার সমস্যা যেমন কাটবে, আগামী দিনে জোজি লা পাস এলাকায় নতুন একটি ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল তৈরীর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শ্রীনগর- দ্রাশ -কারগিল -লে হয়ে এই রাস্তাটি তখন শীতে বন্ধ হলেও, উপত্যকার সঙ্গে দেশের অন্য অংশে যোগাযোগের আরও একটি নতুন রাস্তা খুলে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।এতদিন লাদাখ অঞ্চলে যোগাযোগের জন্য দুটি জাতীয় সড়ক ছিল। একটি মানালি- লাদাখ হ ইয়ে, অন্যটি জম্মু-শ্রীনগর লে লাদাখ পর্যন্ত যাওয়া যায়। কিন্তু শীতের মরসুমে প্রায় ছ’মাস বরফঢাকা থাকে এই পথ। ফলে ওই সময় দীর্ঘদিন দেশের অন্যান্য অংশ সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন থাকে এই অংশের।লাদাখ সীমান্তে চীন যেভাবে সেনা বাড়িয়েছে তাতে আগামী শীতেও সেখানে বাড়তি বাহিনী রাখতে হবে বলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কেননা শীতের আগেই সেখানে যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে গিয়ে রাখা হচ্ছে। ওয়্যার হাউজ গুলিতে একদিকে জ্বালানি, যুদ্ধ সরঞ্জাম, খাদ্য সামগ্রী, অন্যদিকে জওয়ানদের জন্য শীতের পোশাক প্রস্তুত রাখা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় যদি অটল টানেল এর উদ্বোধন হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আগামী শীতের মরসুমে সে অংশের সঙ্গে দেশের অন্য প্রান্তের যোগাযোগের একটি অন্তত রাস্তা খোলা থাকবে বলে মনে করছেন সেনা কর্তারা। আর সে ক্ষেত্রে জরুরী প্রয়োজনে সেই রাস্তা ব্যবহার করা যাবে। যা ভারতীয় সেনার কাছে আশীর্বাদস্বরূপ বলেই মনে করছেন অনেকে।