এক নজরে

#RampurhatCrime: অনুব্রতর ‘শর্ট সার্কিট’ তত্ত্বে বাড়ছে বিতর্ক

By admin

March 22, 2022

কলকাতা ব্যুরো: রামপুরহাটে ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে রাজনীতি মানতে নারাজ বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি। এমনকী ভাদু শেখের মৃত্যুও রাজনৈতিক কারণে হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের দাবি রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে সোমবার রাতে শর্ট সার্কিট হয়েছিল সেই থেকেই টিভিতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং পর পর ৩-চারটি বাড়িয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তখনই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আর কিছুই হয়নি। কোনও রকম গোষ্ঠী সংঘর্ষ মানতে নারাজ তিনি।

এদিকে বীরভূমের বগটুই গ্রামের ১০ জনের দগ্ধ দেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই বাড়ি গুলি একে অপরের থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত। কাজেই একটি বাড়ি থেকে আরেকটা বাড়িতে আগুন ছড়ানো সহজে সম্ভব নয়। তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্ন রিপোর্ট তলব করেছেন।

রাজ্য পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক কারণে খুনের ঘটনা ঘটেনি। পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন হয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী দাবি করেছেন ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে দমকলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাদু শেখকে খুনের আগেই আগুন ধরানো হয়েছিল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। কার্যত কুণাল ঘোষের দাবিতেই সিলমোহর দিলেন ডিজি। কুণাল ঘোষ কয়েক ঘণ্টা আগেই টুইটে দাবি করেছিলেন রাজনীতির সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।

তবে অনুব্রত মণ্ডলের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হল কেন। কেন রামপুরহাটের ওসি এবং এসডিওকে সরানো হলো? কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিট গঠন করার নির্দেশ দিলেন? কেন রিপোর্ট তলব করল নবান্ন? এই রকম একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার আবার দাবি করেছেন ভাদু শেখের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই বগটুই গ্রামে পুড়ে মৃত্যুর কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।

এদিকে মঙ্গলবার রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিধানসভা। বিজেপি বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।

এদিকে থমথমে হয়ে রয়েছে বগটুই গ্রাম। এত বড় ঘটনার পরেও গ্রামবাসীরা ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তাঁরা রীতি মত আতঙ্গে রয়েছেন। অনেকেই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না। অনেকে দাবি করেছেন কেউ সেখানে ছিলেন না। আবার কেউ বলছেন তাঁরা ভয়ে ঘরে দরজা বন্ধ করে বসেছিলেন।