২১ এর ধর্মযুদ্ধ

সব প্রচার বন্ধ, চাইছেন জেলাশাসকরা

By admin

April 14, 2021

কলকাতা ব্যুরো: করোনা নিয়ন্ত্রণে কলকাতা হাইকোর্ট জেলাশাসক ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পর এখন কী হবে তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। এরইমধ্যে বুধবার জেলাশাসকদের এর সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক। এদিনই নির্বাচন কমিশন রাজ্যের নির্বাচনে লড়া সব রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে শুক্রবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ডেকেছে। সে ক্ষেত্রে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলির অভিমত জানতে চায় কমিশন। এদিন জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর যাবতীয় তথ্য জানানো হয়েছে দিল্লিকে। এরপরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশন।

যেভাবে হাইকোর্ট করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা প্রয়োগের নিদান দিয়েছে সেখানে জেলাশাসকরা কোনমতেই এইভাবে প্রচার চালিয়ে যাক রাজনৈতিক দলগুলি তা চাইছেন না। এদিনের বৈঠকে কয়েকজন জেলাশাসক বাকি দফায় সব রাজনৈতিক দলের প্রচার মূলত জনসভা এবং রোড শো পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু লোক নিয়ে শুধুমাত্র বাড়ি বাড়ি প্রচার করার রাস্তা খোলা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।আবার একদল চাইছেন এখনই ভোটের দফা কমিয়ে একসঙ্গে বাকি জায়গাগুলোতে নির্বাচন শেষ করা হোক। সে ক্ষেত্রে সময় অনেকটাই কমে যাবে। যদিও বাস্তবে যে সূচি তৈরি করে রাখা হয়েছে, তা কমিয়ে আনা সম্ভব কি না, সে ব্যাপারে কমিশনে কর্তারা আলোচনা করছেন। আবার যে মাত্রাছাড়া ভিড় হচ্ছে সভা এবং রোড শো গুলোতে সেখানে মূলত স্টার ক্যাম্পেইনার দের মুখে দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, আব্বাস ভাইজান বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত শীর্ষ নেতা নেত্রীদের মিটিং-মিছিল এই মাত্রা ছাড়া ভিড় হচ্ছে। তাই এইসব স্টার প্রচারকদের প্রচার বন্ধ করা যায় কিনা সেই বিষয়টিও এদিন জেলা শাসকদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে উঠে এসেছে।যদিও বাস্তবে কমিশন কি সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়েও সন্দিহান বহু মানুষ। কারণ রাজনৈতিক বসেদের প্রচার বন্ধ করতে বললে তার ফল কি হবে তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। যদিও চারিদিক থেকে যেভাবে সমালোচনার ঝড় বইছে, তাতে কলকাতা হাইকোর্ট কমিশনের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। এবার সেই অস্ত্র যথা জায়গায় প্রয়োগ করা হবে, নাকি তা ঠান্ডা করে চলে যাবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকেই।