Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»আমার বেনারস
এক নজরে

আমার বেনারস

উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায়By উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায়December 20, 2023Updated:December 21, 2023No Comments3 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp

(গতকালের পর)

বেনারস গেলে আমি আমার বাবাকে খুঁজে পাই। বারবার। আমার নাস্তিক বাবাই আমাকে অত শিশু বয়সে বাম হাতের কচি কনিষ্ঠাঙ্গুলটি ধরে আস্তিক বেনারস চিনিয়েছেন। আমার স্মৃতিতে দ্বিতীয় আর একটাও মানুষকে পেলাম না সেই যত্ন, সেই আশ্চর্য আলগা ভাব!

গোধূলিয়ার মোড়- চূড়ান্ত বাজে ট্রাফিক ব্যবস্থা, একটা ঘোড়াশাল আর এক্কাগাড়ি। উনভারসিটি কেতনা লেবা? বিশ। চলিয়ে। দূর্গা মন্দির, ভেলুপুরা, সোনারপুরা, লঙ্কা হয়ে ইউনিভার্সিটি। বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির আর্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আমার ছোট মামীর বাবা পশুপতিনাথ মুখোপাধ্যায়। বিএইচইউর প্রতিষ্ঠাতা মদন মোহন মালব্যের স্ট্যাচু ও ধর্মপালের সব স্ট্যাচুই পশুপতিনাথের শিল্পকান্ড। ওঁর বাড়ির নাম শিলা তুলি, এখন ‌আমার ছোটমামার সংসার। ওখানে বাঙালিটোলা স্কুলের ঠিক পাশের বাড়ি, তিনতলা বাড়ি। গোটা ‌বাড়িটাই মিউজিয়াম।

বড়ো নস্ট্যালজিক। মন কেমন করাটাও থাকুক, এই মন কেমন করাটাই তো চাই, এটার জন্যই তো দৌড়াই বেনারস। মনিকর্ণিকা ঘাটের চিতা কখনো নেভে না। অনন্ত কাল সে আগুন জ্বলেই চলেছে। অদ্ভুত। পাঁড়ে ঘাটের গোয়ালা‌পাঁড়ে বলে ওখানে ওদের কুস্তির আখড়া, পাশেই‌ চৌষট্টি ঘাট। ওখানকার ভাষায় চোসট্টি ঘাট। সেখানেই সর্বজয়া ডেকে দেওয়াতে কমন্ডুল নিয়ে শিশু অপু ঘুম চোখ কচলাতে কচলাতে গঙ্গা থেকে জল আনলো, হরিহরের গলায় জল ঢেলে দিল, হরিহরের মুখটা‌ ফ্রিজ হয়ে গেল- জাম্পকাট (jump cut), ঘাটে বসা এক ঝাঁক পায়রা উড়ে গেল চেনা জায়গা ছেড়ে চরাচরে। সত্যজিতের ‘অপরাজিত’। ছবিটির এই দৃশ্যটা মনে পড়ে? চোখ ছলছল করে না? নিদারুণ দারিদ্র আর কী যে অপমান জীবনে, তাই কতো যে অভিমান! সত্যজিতের চিত্রভাষায় বেনারস। লাক্সা ছাড়িয়ে যাবার‍ পর যাওয়া হলো কিষেন মহারাজের বাড়ি।

কিষেন মহারাজ ছিলেন কন্ঠে মহারাজের পুত্র। অসাধারণ তার বাজনা! কন্ঠে মহারাজের তবলা- সেও এক আশ্চর্য্য ব্যাপার। ধিন/ধি: গে এবং দিন্-এর একত্র প্রয়োগে রে ধ্বনি। ধেং- গে এবং দিং-এর একত্র প্রয়োগে এই ধ্বনি উৎপন্ন হয়। তিন্: কে এবং দিনধ্-এর একত্র প্রয়োগে এই ধ্বনি। উৎ ধিং: গে এবং দিং-এর একত্র প্রয়োগে এই ধ্বনি। ধেৎ: গি এবং তেৎ-এর একত্র প্রয়োগে এই ধ্বনি উৎপন্ন হয়। তবলা বাজিয়ে গণেশ পূজো করেন কিষেণ মহারাজ। একদিকে সানাই বাদক বিসমিল্লা খাঁ আর তবলিয়া কিষেণ মহারাজ।

দসেরার দিন (বিজয়া দশমীতে) দশাশ্মমেধ ঘাটে খোলা অনুষ্ঠান। অপেক্ষা করছেন রবিশঙ্কর আর তার সাথে তবলিয়া আশু ভট্টাচার্য্য (কবিরাজ)। আশু কবিরাজের প্রত্যহ অভ্যাস খুব ভোরবেলায় রেওয়াজ, সকালে কবিরাজি, সন্ধ্যে বেলায় আবার রেওয়াজ। গুরু কন্ঠে মহারাজ আশু ভট্টাচার্য্যকে প্রতিঙ্গা করিয়েছিলেন, ওয়াদা ‌করো, কভ্ভি মাচা পর্ মত আও। সেই থেকে মহৎ মহাঋষির কাছে দেওয়া ওয়াচন ভঙ্গ হয়নি। তিনি পয়সা নিয়ে প্রোগ্রাম করতেন না। কিন্তু যিনি জুহুরী সেই রবিশঙ্কর কিন্তু জানেন তার সেতারের ঝঙ্কারে উনি যখন রাগ শঙ্করভরণম্ বাজাবেন সেই স্পেশাল পৌনে চার তাল আর কেউ পারবে না আশু কবিরাজ ছাড়া।

একবার আমার খুব জন্ডিস হয়েছিল। খুউব। বাঁচবো না-ই এরকম শুনছিলাম। বাবা নিয়ে এলেন বেনারসে। দেখাতে গেলেন আমাকে আশু কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়ে। তখন খুব ছোট নই, বয়স আমার পঁচিশ, পাকামি করে বললাম, আমার অসুখ congenital ideopathic unconjugated hyper bilirubinimiea. উনি বললেন, চুপ! একেবারে চুপ করো। এই টেস্ট, ওই টেস্ট, সেই টেস্ট, তাই টেস্ট-এর গল্প খালি? চুপ্, কোনও কথা নয়। আমি থমকে গেলাম। বললেন, এতসব টেস্ট করবে না‌, আমার ওষুধ খাও। আর তবলা শোনো। শুনবে? একট ব্ল্যাঙ্ক ক্যাসেট নিয়ে এসো কাল, আমি‌ রেকর্ডিং করে দেবো। ওটা রোজ শুনো। আর কে বলেছে তুমি অসুস্থ? তুমি ভাল হয়ে যাবে। গীরিজা দেবীর একটা গান হাল্কা করে কোথাও বাজছিল, আর আশু কবিরাজ মাঝেমাঝেই আমাকে দেখছেন, কথা‌ বলছেন আর আনমনে টেবিল বাজাচ্ছেন, তার সোম্‌ আর মুখ কী অদ্ভুত ক্যালকুলেটিভ। এক অসাধারণ দর্শনীয় স্মৃতি।

চলবে…

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Articleআমার বেনারস
Next Article আমার বেনারস
উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায়

Related Posts

July 29, 2025

বাঁহাতি শিল্পী এবং বিজ্ঞানী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

5 Mins Read
July 27, 2025

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতের সমাধান কোন পথে

4 Mins Read
July 25, 2025

পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী মহাজ্ঞানী থ্যালিস

4 Mins Read
July 23, 2025

থিয়েটার তাঁর কাছে একটি আধ্যাত্মিক যাত্রা

5 Mins Read
Add A Comment
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

বাঁহাতি শিল্পী এবং বিজ্ঞানী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

July 29, 2025

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতের সমাধান কোন পথে

July 27, 2025

পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী মহাজ্ঞানী থ্যালিস

July 25, 2025

থিয়েটার তাঁর কাছে একটি আধ্যাত্মিক যাত্রা

July 23, 2025

পাথরের গায়ে নিঃশব্দ ভাষায় লেখা ইতিহাস

July 21, 2025

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্ট

July 19, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?