কলকাতা ব্যুরো: সমস্ত জল্পনার অবসান। ইস্টবেঙ্গলের নতুন ইনভেস্টর ইমামি গ্রুপ। বুধবার এমন ঘোষণা এলো নবান্ন থেকেই। এদিন সন্ধেয় নবান্ন থেকে এমন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর লাল-হলুদের নয়া ইনভেস্টর হিসেবে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল অনেক নাম, যার মধ্যে ছিল ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস প্রস্তুতকারক ইমামির নামও।
সম্প্রতি আবার গ্লেজার পরিবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাব কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে রব ওঠে ময়দানে। মঙ্গলবার সেই সম্ভাবনা উসকেও দিয়েছিলেন মহারাজ। তবে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছিলেন যে, ১০-১২ দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এখনও কিছু নিশ্চিত নয়। অথচ চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই ঘোষণা হল লাল-হলুদের নয়া লগ্নিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতা এই যাত্রাতেও যে ইস্টবেঙ্গলের সহায় হয়েছে, সেটা পরিষ্কার।
মাল্টিন্যাশনাল এই সংস্থার সদর দফতর কলকাতাতেই। স্বভাবতই কলকাতা অন্যতম প্রধান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত ইমামি গ্রুপও। এদিন নবান্নে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে পাকা কথা বলতে হাজির হন সংস্থার প্রতিনিধিরা। পাকাপাকি কথাবার্তার পরেই আসে ঘোষণা। নয়া লগ্নিকারী সংস্থাকে ক্লাবে স্বাগত জানান শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, আজ দু’পক্ষই আমার এখানে চা খেতে এসেছিল। দু’পক্ষই রাজি হয়েছে। যার ফলে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে খেলার যে সমস্যা হচ্ছিল, সেই সমস্যা মিটে যাবে।
এদিকে ইমামি গ্রুপকে ক্লাবে স্বাগত জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। ক্লাবের পাশে থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। শুধু ইনভেস্টর নয়, যেভাবে ক্লাবের সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকেন, সেটা বাংলার আর কোনও মুখ্যমন্ত্রী ভাবেনি। আমি ইমামি গ্রুপকেও ধন্যবাদ জানাব এবং আশা করব আগামী দিনে আমাদের ক্লাব ইমামির সাহায্যে সাফল্য পাবে।