কলকাতা ব্যুরো: নতুন সংগঠন তৈরির পর আসন্ন গোয়া বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে। তারই মাঝে এবার খানিকটা ছন্দপতন। ভোটে লড়াই না করার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সহ-সভাপতি লুইজিনহো ফ্যালেইরো। শুক্রবার সকালে পানাজিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর পাশে বসেই লুইজিনহো নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সঙ্গে ছিলেন নতুন প্রার্থী সিওলা ভাস। লুইজিনহোর এই সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে তৃণমূলের কাছে ধাক্কা। তবে তা দ্রুত সামলে উঠেই সৈকতরাজ্যে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে প্রস্তুত বাংলার শাসকদল।
চলতি মাসের ১৮ তারিখ গোয়ায় ভোটের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকের পর প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে স্থানীয় স্তরে গুরুত্ব দিয়ে এই তালিকা তৈরি হয়েছিল। টিকিট দেওয়া হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরো এবং প্রাক্তন বিধায়ক চার্চিল আলেমাওকে। ঘোষণা করা হয় রাজ্য কমিটি, যুব, মহিলা, ব্লক সমস্ত স্তরের কমিটি।
লুইজিনহো এই মুহূর্তে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনিই সে রাজ্যে প্রথম তৃণমূলের দিকে পা বাড়ান। তাই তাঁর উপর একের পর এক দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। ৪০ বিধানসভার গোয়ায় ভোট ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরিকল্পনা ছিল, বিধানসভা ভোটে লুইজিনহো জিতলে তাঁকে আবার রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন। ঘোষণা করেন যে ভোটে তিনি লড়ছেন না, ব্যাটন দিচ্ছেন এক তরুণীকে। দলীয় নীতি অনুযায়ী, মহিলাদের ক্ষমতায়নে জোর দেওয়ার জন্য়ই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
যদিও সূত্রের খবর, সত্তরোর্ধ্ব লুইজিনহো গোয়ায় কংগ্রেসের হয়ে সাতবারের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। আর তাঁর ভোটে লড়াইয়ের ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু তৃণমূল তাঁকে মুখ করেই গোয়া নির্বাচনের রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েছিল। তবে শেষমেশ অবশ্য লুইজিনহোর আপত্তিতে সায় জানালো তৃণমূল। ফাতোরদা কেন্দ্র অর্থাৎ যে আসনে প্রার্থী হিসেবে লুইজিনহোর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই আসনে তাঁরই আত্মীয়, তরুণী সিওলা ভাসকে দাঁড় করানো হলো। আজই গোয়ায় মনোনয়নের শেষ দিন। ৪০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা থাকলেও ২৬ টি আসনে লড়ছে তৃণমূল।
