কলকাতা ব্যুরো: তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত করে দেখা হোক ৷ তিনি যেকোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত ৷ কিন্তু তাঁর পরিবারকে কেন নিশানা করা হচ্ছে? সোমবার মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্নই তুললেন এনসিবি-এর আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে ৷ সোমবার আদালতকে তিনি বলেন, ‘‘আমার পরিবার, এমনকী আমার বোন এবং প্রয়াত মাকেও এসবের মধ্যে টেনে আনা হচ্ছে ৷ তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে ৷’’
মুম্বইয়ের উপকূলে প্রমোদতরী থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এদিন দু’টি হলফনামা পেশ করা হয় বিশেষ আদালতে ৷ তার মধ্যে একটি হলফনামা পেশ করে এনসিবি ৷ অন্য হলফনামাটি জমা দেন সমীর ৷ প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই এই গোটা ঘটনা নিয়ে সরব মহারাষ্ট্রের প্রধান শাসকদল শিবসেনা ৷ তাদের অভিযোগ, রাজ্যের সরকারকে কালিমালিপ্ত করতেই বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এইসব কান্ড ঘটাচ্ছে ৷ বিষয়টি সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে কার্যত লড়াইয়ে জড়িয়েছেন মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার সদস্য এবং এনসিপি নেতা নবাব মালিক ৷ সদ্য টুইটারে সমীরের জন্মের শংসাপত্র পোস্ট করেন তিনি ৷ সঙ্গে লেখেন, ‘‘সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ের প্রতারণা ঠিক এখান থেকেই শুরু হয়েছে ৷’’ প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধার থেকে শুরু করে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের গ্রেফতারি, পুরো ঘটনাপ্রবাহ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নবাব মালিক ৷ সমীরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও করেছেন তিনি ৷
নবাব মালিকের করা টুইটের ভিত্তিতেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সমীর ৷ এদিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘নবাব মালিক আমার জন্মের শংসাপত্র-সহ একটি নতুন টুইট করেছেন বলে শুনেছি ৷ এটা এমন একটা নোংরা প্রচেষ্টা যার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্কই নেই ৷ আমার মা ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছিলেন ৷ আর শুধুমাত্র এই কারণেই আমার মৃত মাকে এসবের মধ্যে টেনে আনা হচ্ছে ৷ যদি কেউ আমার ধর্ম জানতে চান, বা আমার সম্পর্কে আগ্রহী হন, তাহলে তিনি সেই জায়গায় যেতে পারেন, যেখানে থাকতাম ৷ আমার প্রপিতামহের আমল থেকে সবকিছুর খোঁজ নিতে পারেন ৷ কিন্তু, তাঁর এভাবে আবর্জনা ছড়ানো উচিত নয় ৷ আমি আইনি পথেই এর মোকাবিলা করব ৷ আর এই বিষয়ে আদালতের বাইরে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না ৷’’
এর আগে সমীরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগও করেছিলেন নবাব মালিক ৷ তাঁর দাবি ছিল, এক বছরের মধ্যেই নাকি চাকরি খোয়াতে চলেছেন সমীর ওয়াংখেড়ে ৷ যদিও সমীরের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে এনসিবি কর্তৃপক্ষ ৷ অন্যদিকে, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আরিয়ান খান-সহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
