কলকাতা ব্যুরো: গান্ধী জয়ন্তীতে আবারও রাজ্যকে খোঁচা রাজ্যপালের৷ রাজ্যে যে শান্তির বাতাবরণ নেই, আরও একবার সেকথা বুঝিয়ে দিলেন জগদীপ ধনকড়। শনিবার গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে জাতির জনককে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। পরে সেই কর্মসূচির ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেন ধনকড়। একইসঙ্গে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি মনে করিয়ে দেন, গান্ধীজির আদর্শ মেনে বিশ্বের সর্বত্রই শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়া জরুরি।
পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধানের পদে বসার পর থেকেই সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, তাঁর দল এবং তাঁর সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটেছন ধনকড়৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি যখন রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব, ঠিক তখনই একই সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের গলাতেও ৷ এমনকী, সেই সময় ‘হিংসার শিকার’ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে জেলা সফরেও গিয়েছেন রাজ্যপাল ৷
তবে মাঝে কিছুদিন রাজ্য-রাজ্যপাল বিবাদে ছেদ পড়লেও গান্ধী জয়ন্তীতে আবারও তা নতুন করে চাগিয়ে তুললেন রাজ্যপাল স্বয়ং ৷ শনিবার গান্ধী জয়ন্তী নিয়ে দু’টি টুইট করেন ধনকড় ৷ একটিতে কেবলমাত্র এদিনের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করা হয়। তাতে জানা যায়, সস্ত্রীক জাতীর জনককে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছেন রাজ্যপাল। গান্ধী মূর্তি পাদদেশে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানের ভিডিয়োও পোস্ট করেন তিনি।
তবে এই টুইটের প্রায় চার ঘণ্টা আগে আরও একটি টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। তাতে তিনি লেখেন, ২০২১ সালের গান্ধী জয়ন্তীতে বাপুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য। তাঁর আদর্শ মেনে সর্বত্র শান্তি এবং অহিংসা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যা বিশ্বের সর্বত্রই প্রযোজ্য। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টকে ট্যাগ করে ধনকড় লেখেন, গণতন্ত্র এবং মানুষের সম্মান প্রস্ফুটিত করা দরকার৷ যাতে ছড়িয়ে পড়া সমস্ত ভয় এবং হিংসাকে প্রতিহত করা যায়৷ রাজ্যপাল যে এখনও ভোট পরবর্তী হিংসার তত্ত্ব থেকে এতটুকুও সরেননি, তাঁর এদিনের টুইটই তার প্রমাণ। এখন দেখার, রাজ্যের তরফে এর কোনও জবাব আসে কি না।