কলকাতা ব্যুরো: অভিষেক, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে সব সমস্যা যে মিটে গিয়েছে তা জনসমক্ষে জানাবেন শুভেন্দু অধিকারীই। বৈঠক শেষে ফোনে শুভেন্দুর কথা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দলনেত্রী ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু শুভেন্দুকে কেন্দ্র করে গত মাস দুয়েক ধরে যে ক্ষোভ, বিক্ষোভ, কটুক্তি, বক্রোক্তি, কটাক্ষ চলছিল তার শেষের ঘোষনাটা করতে হবে কাঁথির ভূমিপুত্রকে।
দীর্ঘ দেড় বছর ধরে দলের সঙ্গে নিরবে দড়ি টানাটানি চললেও কখনোই প্রকাশ্যে নাম করে দল বিরোধী কোনো মন্তব্য করেননি শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি গত সপ্তাহে মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগপত্র দেওয়ার পরেও তিনি নীরব ছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে সরাসরি একটি কথা ও বলেননি। উল্টে তৃণমূলের বহু বিধায়ক, সাংসদ থেকে মন্ত্রী আলটপকা শুভেন্দু সম্পর্কে প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেছেন। শুধুমাত্র সৌগত রায় বরাবরই এখানে ছিলেন একেবারে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায়। শেষ পর্যন্ত তার এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌ ত্যে যুযুধান দু পক্ষকে মঙ্গলবার বৈঠকে বসানো সম্ভব হয়।
সৌগত রায় সব সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে জানালেও, জানিয়ে দেন, এ ব্যাপারে যা বলার বলবেন শুভেন্দু। অর্থাৎ দলের তরফে কোন দায় যে গোটা ঘটনাক্রমের নেওয়া হবে না তা স্পষ্ট। ফলে গত দু’মাস ধরে দাদার অনুগামীরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে ক্ষোভের প্রকাশ দেখাচ্ছিলেন বা শুভেন্দু বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় নাম না করেও দলকে খোঁচা দিলেন, এমনকি সবশেষে মন্ত্রিত্ব সহ যাবতীয় সরকারি পদ ছেড়ে দেওয়ার পর এখন সব মিটে যাওয়ার কথাও তাকেই ঢোক গিলে বলতে হবে জনসমক্ষে। ফলে তিনি কীভাবে এবার তা প্রকাশ্যে জানাবেন সেদিকেই অধীর আগ্রহে এখন নজর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের।
		
									 
					