দুনিয়া

কোভিড আবহে এবার ব্রিটেনের অনেক পুজোই অনিশ্চিত

By admin

October 10, 2020

সুমনা আদক, স্কটল্যান্ড

বিদেশের অনেক জায়গাতেই উমা পূজিত হন মাতৃ রূপে। ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও আজকাল ব্রাজিল কিংবা চিলিতেও মায়ের বোধন হয় সাড়ম্বরে, এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াতে তো আছেই।কিন্তু প্যান্ডেমিক এলোমেলো করে দিলো বছরটাকে। অস্তিত্বের সংকটে এখন গোটা বিশ্ব ও মানব জাতি একেবারে গৃহবন্দি। তবুও করোনা থেকে মুক্তির জন্য মানুষ চেষ্টা চালিয়েছে বারে বারে।

শারদীয়ার প্রাক্কালে কুমোরটুলির পটুয়া পাড়ায় নেমেছে অকাল আঁধার। ছোট বড় একের পর এক পুজোর রং ফিকে হয়েছে এই সময়ে।শুধু দেশেই নয়, ব্রিটেনের শারদীয়ার আনন্দ অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে কোভিড-১৯। সব মিলিয়ে গোটা ইউনাইটেড কিংডম জুড়ে পুজো হয় ৬০-৬৫ টা, কিন্তু এ বছরে অনেক পুজো উদ্যোক্তাই তাদের পুজো হবে কি হবে না এই নিয়ে সঠিক কোনো সিন্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি এখনো। লক ডাউন উঠে যাওয়ায় কিছুদিন আগেও শোনা গিয়েছিল ২৩-২৪ টা পুজোর আয়োজন শুরু হয়েছে ব্রিটেনে, কিন্তু হঠাৎই কেমন পাল্টে গেল ব্রিটেনের দুর্গা পুজোর পূর্বের সেই চেনা ছবিটা। একটু একটু করে বাড়তে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা তাই এমন সংকটকালে অনেক পুজো কমিটি বাতিল করেছে তাদের এবারের দুর্গাপুজো। শুনতে খারাপ লাগছে এবছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর বঙ্গীয় সাংস্কৃতিক দুর্গাপুজো এবং হালফিলে গড়ে ওঠা এডিনবরার দুর্গা পুজো শুনছি বন্ধ থাকবে কারণ হলো স্কটিশ গভর্মেন্ট এর থেকে কোনো অনুমতি মেলেনি। আরো খারাপ লাগে তখন যখন শুনি বার্মিংহামে ‘মা’ আসছেন না , সাউথ লন্ডনের পুজোও হয়তো হবেনা এবছরে, তবে আমাদের এখানকার সবথেকে প্রাচীন টেমসের ধারের কেমডেন এর দুর্গা পুজো হচ্ছে। একসাথে ছয় জনের বেশি মানুষ ভিড় করতে পারবেন না মণ্ডপে। সরকারি মতে তেমনই নির্দেশ জারি আছে কেমডেনের পুজোতে। শুনে একটু হলেও মনটা ভালো লাগলো ওয়েলস এ এবারে নাকি ঘটপুজো হবে, অক্সফোর্ড এও ছোট করে পুজোটা হবে,খবরটা শুনে ব্রিটেনের অনেক বাঙালির মনেই শারদীয়ার রঙটা একটু হলেও গাঢ় হচ্ছে, এতো গেল নামি দামীপুজো গুলোর কথা। এখানকার বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগ পুজোই হবে ডিজিটালের মাধ্যমে, অনলাইনএ কালচারাল প্রোগ্রামও থাকবে এবছর। আবৃত্তি, গান, নাটক, নাচে জমজমাট থাকবে ষষ্টি থেকে দশমীর সকাল থেকে সন্ধ্যাগুলো, এমনটাই শোনা যাচ্ছে আর সেই নিয়েই বেশ ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে ঘরে ঘরে। কেউ কারোর সাথে সাক্ষাৎ না থাকায় নিজেরাই যে যার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে নিজের বাড়িতে। কলকাতা থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজার কিলোমিটার দূরে এমন সংকটকালেও শারদীয়ার প্রাক্কালে এই দিনগুলো মনকে বড়ই আকুল করে। ভাবায় বারে বারে এভাবেই কেটে যাচ্ছে ব্রিটেনের দিনগুলো। ব্রিটেনের শয়ে শয়ে বাঙালি মহালয়ার ভোরে শুনেছে বীরেন্দ্র ভদ্রের সেই মায়াময় কণ্ঠস্বর। ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর ‘শুনে মনটাও বেশ ভারাক্রান্ত তবুও মানিয়ে নিচ্ছি বারে বারে, এবারটা নাহয় থাক ‘আসছে বছর আবার হবে। ‘