কলকাতা

ক্রেতা নেই, তাই খুলেও ঝাঁপ পড়লো শহরের বহু রেস্তোরাঁর

By admin

July 02, 2020

কলকাতা 361° ব্যুরো :  ক্রেতা নেই। হাজার রকমের আয়োজনের পরও তাই বিক্কিরি নেই। উল্টে কয়েকদিন না যেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাছ, মাংস আনাজ। রুজি রোজগারের স্বপ্ন নিয়ে প্রায় আড়াই মাস পর রেস্তোরাঁ খুলেও মাছি তাড়াচ্ছেন মালিকরা। জায়গার হেরফেরেও ছবির বদল নেই। পার্কস্ট্রিট থেকে সাউথ সিটি মল বা বাইপাস থেকে করুণাময়ী সাজিয়ে বসা বাতানুকূল দেশী-বিদেশী খাবারের রেস্তোরাঁয় ক্রেতার দেখা নাই। তাই দিন দশেক যেতে না যেতেই আনলকের বাজারেও একের পর এক ঝাঁপ পড়ছে হোটেল, রেস্টুরেন্ট , ক্যাফের। মালিকদের দাবি, দিনে দেড় থেকে দু’হাজার টাকার বেচাকেনা। কোনও কোনওদিন তাও নয়। তা দিয়ে রেস্টুরেন্টের যাবতীয় খরচ, স্টাফেদের মাইনে, ট্যাক্স, ইলেকট্রিক বিল, এত কিছু দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। লাভ দুরস্ত। উল্টে ঘর থেকে টাকা ঢালতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে খোলার পরও রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিচ্ছেন বহু মালিক। প্রত্যেকেরই বক্তব্য বার না খোলা পর্যন্ত এই সমস্ত বড় বড় রেস্টুরেন্ট চালানো অসম্ভব। বার খুললে তবু কিছু কাস্টমার পাওয়া যাবে। ড্রিংক করতে এসে তারা খাবার খাবে। নাহলে এমনিতে এই পরিস্থিতিতে কেউই বিশেষ রেস্তোরাঁর খাবার খাচ্ছেন না। ভরসা বলতে শুধুই কিছু হোম ডেলিভারি।

সরকারের দেওয়া নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ৮ জুন থেকে খোলা হয়েছিল হোটেল রেস্টুরেন্ট। যে পরিমান আসন সংখ্যা তার ৫০ শতাংশ ক্রেতাকে বসানোর অনুমতি আছে। মালিকদের দাবি, অর্ধেক আসন দুরস্ত কোনও কোনও দিন একজন ক্রেতাও হচ্ছে না। ফলে লোকসানের বহর বাড়ছে। এমনিতেই ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।

সরকারের দেওয়া নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ৮ জুন থেকে খোলা হয়েছিল হোটেল রেস্টুরেন্ট। যে পরিমান আসন সংখ্যা তার ৫০ শতাংশ ক্রেতাকে বসানোর অনুমতি আছে। মালিকদের দাবি, অর্ধেক আসন দুরস্ত কোনও কোনও দিন একজন ক্রেতাও হচ্ছে না। ফলে লোকসানের বহর বাড়ছে। এমনিতেই ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। কিন্তু তাতেও সম্ভব হচ্ছে না চালানো। এখনও শহরের ৬০ শতাংশ রেস্টুরেন্ট খোলেইনি। তবু যারা খুলেছিল তারাও আসতে আসতে অনেকেই বন্ধ করছেন। গত চারদিনে বাইপাস, করুনাময়ী, সাউথ সিটি পাক স্টিট অঞ্চলে অন্তত কুড়ি থেকে পঁচিশটি রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। পার্কস্ট্রিটের এক রেস্টুরেন্টের মালিকের কথায়, ক্রেতা আসবে কি আসবে না সেটা তো আগে থেকে বোঝা সম্ভব না। কিন্তু তিনি এসে তো যা খুশি খাবার অর্ডার দিতে পারেন। রেস্টুরেন্টের সুনাম রাখতে সেটা তো সাপ্লাই দিতে হবে। তাই সমস্ত রকম আয়োজন করে রাখতে হয়। মাছ মাংস থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় আনাজপাতি। আর এই জিনিস তো দিনের পর দিন ফ্রিজে থাকে না। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কদিন পরই। ক্ষতি হচ্ছে অনেক। গোলপার্কের ক্যাফে থেকে বাইপাসের নামকরা রেস্তোরাঁ। সমস্যা সেই একই। তাই বাধ্য হয়ে খোলার পরেও ঝাঁপ বন্ধ হচ্ছে অনেক দোকানের। অনেক মালিক ভেবেছিলেন পরিস্থিতি দেখে দোকান খুলবেন। সেই মতো সব আয়োজন সত্ত্বেও তারা আর খোলেননি।

হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ইস্টার্ন রিজিওনের সভাপতি, সুদেশ পোদ্দার বলেন, “রেস্টুরেন্ট খুললেও একদম বেচা কেনা নেই। তাই অনেকেই আবার বন্ধ করে দিচ্ছেন। বার না খোলা পর্যন্ত পরিস্থিতি বদলাবে না।”