খাদ্য আর খাদকের কি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব ? হ্যাঁ, সম্ভব। অন্তত বিপদকালে। দিন চারেক আগে তেমন এক ঘটনারই সাক্ষী থেকেছিলো কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান এবং ব্যাঘ্র প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী কুন্দলিমারি গ্রাম।
কলকাতা ব্যুরো: যা জঙ্গলের থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে। কাজিরাঙার প্রায় ৯৫ শতাংশ এলাকাই জলমগ্ন হয়ে পড়ায় অসমের গোলাঘাট জেলার ওই গ্রামটিতে কমল শর্মা নামে এক গৃহস্থের ছাগল রাখার ঘরেই আশ্রয় নিয়েছিল একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। গৃহস্থ বাড়িতে সারারাত এবং সারাদিন থাকার পর পরদিন সন্ধ্যায় কারো কোনও ক্ষতি না করে জঙ্গলে ফিরে যায় সে।
বন্যার হাত থেকে বাঁচার এই মরিয়া প্রচেষ্টার পরেও কিন্তু বেড়েই চলেছে বন্যপ্রাণীদের মৃত্যুর সংখ্যা। সোমবার পর্যন্ত সেই সংখ্যা ছিল ৫১। গতকাল তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ টি। এখনো পর্যন্ত বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের জল। বিশেষ করে জোরহাট, গোলাঘাট এবং শোনিতপুর জেলার বেশ কিছু অংশ এর ফলে জলমগ্ন।
শুধুমাত্র গোলাঘাট জেলার কুন্দলিমারি গ্রামেই নয়, কাজিরাঙা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী বাঘমারী গ্রামেও প্রাণ বাঁচাতে লোকালয়ে আশ্রয় নিয়েছিল আরো দুটি বাঘ। তাদের একটি স্থানীয় মানুষের তাড়া খেয়ে তুলনামূলক উঁচু এলাকা কার্বি আঙলং পাহাড়ের দিকে পালায়। অন্যটি আশ্রয় নিয়েছিল ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। সেন্টার ফর ওয়াইল্ড লাইফ রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড কনজারভেশন র উদ্যোগে অবশ্য বন্য প্রাণীগুলোকে নিরাপদে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।